আসছেন মোদী, জয়াকে পেতে দৌড়ে সকলেই
মনিতে তাঁর পোজ গার্ডেনের বাড়ির দরজা দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধই থাকে। ভোটে জেতার দিনটা ছাড়া। লোকসভা ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে, সেই তাঁরই দুয়ারে কড়া নাড়ার লোক বাড়ছে! এবং কাউকেই পাকা কথা দিচ্ছেন না জয়রাম জয়ললিতা!
লোকসভা ভোটের ঢের আগে থেকেই গোটা চেন্নাই ‘আম্মা’র ছবি-সংবলিত ঢাউস সরকারি-বেসরকারি হোর্ডিংয়ে মোড়া! অন্য দিকে বিজেপি, সিপিএম থেকে তৃণমূল সব দলই এডিএমকে-র সর্বোচ্চ নেত্রী তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট। ‘আম্মা’র সঙ্গে সমঝোতা করেই গত বিধানসভা ভোটে মোট ১৯টি আসনে জিতেছিল সিপিএম, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। সেই সমঝোতাকে আগামী লোকসভা ভোটেও ধরে রাখতে তৎপর বাম নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বামেদের প্রবলতম প্রতিপক্ষ তৃণমূল চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র-বিরোধী আন্দোলনে জয়ার দলকে পাশে পেতে। জাতীয় দল হিসাবে বিজেপি বরং ঘুরপথ নিয়েছে ইদানীং। জয়ার দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে ডিএমডিকে, এমডিএমকে ও পিএমকে-র মতো তামিল রাজনীতির ছোট দলগুলি নিয়ে জোটের প্রয়াসে গতি বাড়িয়েছে। লক্ষ্য এডিএমকে-কে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করা!
মিত্র সন্ধানের এমন প্রতিযোগিতার আবহেই আজ, বৃহস্পতিবার জয়ার রাজ্যে পা রাখছেন নরেন্দ্র মোদী। চেন্নাই হয়ে তাঁর সমাবেশ করতে যাওয়ার কথা তিরুচিরাপল্লিতে। গুজরাত ও তামিলনাড়ুর দুই মুখ্যমন্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক এমনিতে মধুর। কিন্তু সেই মোদীই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পরে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও সঙ্কেত দেননি জয়া। বিজেপি এখন চাইছে, মোদীর নামে বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে দক্ষিণেও তাদের আগমন-বার্তা স্পষ্ট করে দিতে। সেই সঙ্গে ছোট দ্রাবিড় দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে এডিএমকে-কে চাপে রাখার চেষ্টাও জারি রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ত্রিচিতে মোদী-দর্শনের জন্য দিতে হবে ১০ টাকা করে! ক’দিন আগেই হায়দরাবাদ ঘুরে গিয়েছেন মোদী। কিন্তু বিজেপি-র মতে, সেই সফর ছিল দলের লোকসভা প্রচারের প্রধান মুখ হিসাবে। আর এ বার প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে দক্ষিণ ভারতে প্রথম সমাবেশ। তাই এই সমাবেশের তাৎপর্য আলাদা।
বিজেপি-র পক্ষে যা সম্ভব, তৃণমূলের পক্ষে অবশ্যই তা বাস্তবোচিত নয়। তারা এগোনোর চেষ্টা করছে কিছুটা সন্তর্পণে। এডিএমকে সূত্রের খবর, কলকাতা, চেন্নাই-সহ দেশের ৬টি বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের চেষ্টা মোকাবিলার কৌশল নিয়ে তাদের সঙ্গে এক প্রস্ত কথাবার্তা হয়েছে তৃণমূলের। এমনকী, অ-কংগ্রেস ও অ-বিজেপি শক্তিকে একজোট করার লক্ষ্যে লোকসভা ভোটের আগে জয়ার রাজ্যে আসার ইচ্ছাও রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্য দিকে, বামেদের তরফে প্রকাশ কারাট, ডি রাজারা ‘আম্মা’র সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
এডিএমকে নেতৃত্বের কৌশল, গোটা পরিস্থিতির উপরে নীরবে নজর রেখে চলা। দলের ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞ সাংসদ বাসুদেবন মৈত্রেয়ন জানাচ্ছেন, লোকসভা নির্বাচনে কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতার ব্যাপারেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সংসদীয় রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা হতেই পারে। পরবর্তী রণকৌশল যথাসময়েই ঠিক করা হবে। ঘটনা হল, নিয়ম করে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে যে হেতু তোপ দেগে চলেছেন জয়া, তাই তাঁকে নিয়ে চর্চাও বাড়ছে। চেন্নাই শহরেই ফ ব-র চলতি পার্টি কংগ্রেস উপলক্ষে প্রদর্শনী উদ্বোধনে দু’জন মন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন তিনি। আবার তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতেও আপত্তি করেননি।
আপাতত সব দলকেই দরজায় দাঁড় করিয়ে রেখেছেন ‘পুরৎচি তালাইভি’!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.