|
|
|
|
|
|
আইন আদালত |
|
বাবা মারা গিয়েছেন ২০০৭-এ। মা জীবিত। আমরা দুই ভাই ও ছয় বোন। আগেই বাবার নামের কিছু জমিজমা বিক্রি করা হয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া জমির আর একটি বড় অংশও মা বিক্রি করে দেন। এর জন্য আমরা ভাইবোনেরা মা-কে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়েছিলাম। কিন্তু মা আমার দুই অবিবাহিত বোনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদের বাকি ছ’জনকে ঠকিয়ে জমি বিক্রির টাকা হস্তগত করে নেন।
এর পর গত ২০১৩-র জুনে মা হঠাত্ বাবার করে যাওয়া একটি উইল প্রকাশ্যে আনেন। সেটি নাকি বাবা ১৯৯৯-এর জুলাইয়ে করেছিলেন। সেখানে মা উইলের একমাত্র ‘বেনিফিশিয়ারি’। আর বাড়ির এক জামাই ‘এগ্জিকিউটর’। তাঁরা ইতিমধ্যেই উইলের প্রোবেট নিতে আদালতে গিয়েছেন।
আমার প্রশ্ন, আমি কী করে পৈতৃক সম্পত্তিতে নিজের ভাগের অংশ উদ্ধার করতে পারব?
অশোক মণ্ডল
প্রথম কথাই হল, সম্পত্তি আপনার বাবার। সুতরাং তাঁর নিজের সম্পত্তি তিনি যদি কাউকে উইল করে দিয়ে গিয়ে থাকেন, তা হলে কারও কিচ্ছু বলার নেই। আপনারও না।
কিন্তু একটা ব্যাপারে খট্কা লাগছে যে, ১৯৯৯ সালের জুন মাসে করে যাওয়া উইল বাবা মারা যাবার প্রায় ছ’বছর পরে আপনার মা প্রকাশ্যে আনলেন কেন? আপনারা চাইলে আদালতে এ প্রশ্ন তুলতে পারেন।
আর একটা বিষয় ভাবাচ্ছে যে, উইল যেখানে আগেই করা হয়ে গিয়েছিল, সেখানে আপনাদের দিয়ে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ করিয়ে নিয়ে জমি বিক্রি করা হল কেন? উইলের প্রোবেট নিয়ে মা একাই সম্পত্তি দখল ও বিক্রি করতে পারতেন।
আবার আপনি বলছেন, আপনাকে ও অন্য আরও পাঁচ ভাইবোনকে ঠকানো হয়েছে। আপনি কোনও আইনি পদক্ষেপ করেছেন কি? এ রকমই বিভিন্ন বিষয় আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এগুলি জানার দরকার ছিল।
তবে আপনার মা যখন প্রোবেট মামলা দায়ের করেছেন, তখন সেই মামলার নোটিস আপনাদের কাছেও আসবে। তখন আপনি বা আপনারা আদালতে উইলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উইলটি যদি গ্রাহ্য না-ও হয়, তা হলেও কিন্তু আপনি বাবার মোট সম্পত্তির মাত্র ১/৯ অংশই (মা ও ৮ ভাইবোন মিলিয়ে ৯ জন) পাবেন।
মাথায় রাখবেন, আপনি যখন আদালতে উইলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করবেন, তখন কিন্তু কেন সেটা করছেন, বা কেন উইলটির প্রোবেট আদালতে গ্রাহ্য হওয়া উচিত নয় বলে মনে করছেন, সেটা আদালতের সামনে স্পষ্ট করে বলতে হবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার মা-র এত দেরি করে উইলটি প্রকাশ্যে আনার কারণে যে-আপনি উইলটির ‘সত্যতা’ সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করছেন, সে কথাও বলতে পারেন। তবে শুধু মুখে বললেই তো আর হবে না। আপনার বক্তব্যকে সমর্থন করার মতো যুক্তিগ্রাহ্য কারণও পেশ করতে হবে। যদি আপনার মায়ের বক্তব্যে যুক্তি থাকে, অথবা তিনি উইলের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে কিন্তু ‘প্রোবেট’ তাঁর অনুকূলেই যাবে। |
পরামর্শদাতা আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
|
ট্যাক্স কর্নার |
আমি একজন প্রবীণ নাগরিক। মোট আয় বছরে প্রায় ৩.৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে ২.৭ লক্ষ টাকা আসে পেনশন থেকে। প্রায় ৮০ হাজার ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট বা স্থায়ী আমানতের সুদ থেকে। তবে করছাড় পাওয়ার মতো কোনও সঞ্চয় নেই। আমি প্রতি বছর ব্যাঙ্কে ১৫এইচ জমা দিই এবং অর্থবর্ষের শেষে সুদের সার্টিফিকেট নিই আয়কর রিটার্নে তার পরিমাণ দেখানোর জন্য। এর পর যা কর ধার্য হয় সেটা মিটিয়ে দিই। এমনকী আমি সাধারণত আগাম কর জমা দিই।
আপনি যদি বলে দেন যে, আমার এই রিটার্ন দেওয়ার পদ্ধতি ও ১৫এইচ জমা করা আয়কর আইন মোতাবেক কি না, তা হলে উপকৃত হব।
গৌতম সরকার
গৌতমবাবু এ বছরের মতো তো আয়কর রিটার্ন জমার দিন পেরিয়ে গিয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই তা ঠিকঠাক জমাও দিয়ে দিয়েছেন। তবু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই জানিয়ে রাখি, আপনি যে-ভাবে আয়কর জমা দিয়ে থাকেন বলে লিখেছেন সেটা একেবারে সঠিক পদ্ধতি। কাজেই আগামী দিনেও স্বচ্ছন্দ্যে এই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারেন।
|
পরামর্শদাতা আইনজীবী ও কর বিশেষজ্ঞ নারায়ণ জৈন |
|
|
|
|
|