অতিরিক্ত বিল আসার কথা তুলে ভাঙচুর বিদ্যুৎ দফতরে |
বিনা নোটিসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়েছে এই অভিযোগে কালনা-১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম এলাকার বিদ্যুৎ দফতরে হামলা চালাল স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে। স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতি চক্রবর্তী-সহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় দফতরের আসবাবপত্র। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১২টা ১৫ নাগাদ ধাত্রীগ্রাম বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে হাজির হন স্থানীয় বেলকুলি গ্রামের শ’দেড়েক মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের গ্রামের এক বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধভাবে কাটা হয়েছে। বচসা চলাকালীন বিদ্যুৎকর্মীদের মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা। স্টেশন ম্যানেজারকে বাঁচাতে এসে আহত হন দফতরের কর্মী তিমিরবরণ সামন্ত। দফতরের কোষাধ্যক্ষ গোপালচন্দ্র সাধুকেও মারধর করা হয়। বেলা আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে বিদ্যুৎ কর্মীদের উদ্ধার করে। |
বিকেল ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দফতরের সামনে জটলা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার-টেবিলের টুকরো। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিদ্যুৎ বিল বিভ্রাটের শুরু। গ্রামের বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল। গ্রামবাসীদের দাবি, ঠিকমতো ‘মিটার রিডিং’ না নেওয়ার কারণেই আসছে এই বিল। ঘটনার তদন্ত চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখান বেলকুলি গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা রবি সোরেন, বাবলু হাঁসদাদের অভিযোগ, স্মারকলিপি দেওয়া সত্ত্বেও অভিযোগের তদন্ত হয়নি। তারপর থেকে যে বিল এসেছে তার টাকা জমা দিতে গেলে বলা হচ্ছে আগে বকেয়া বিল মেটান।
বিকেল চারটে নাগাদ সংশ্লিষ্ট স্টেশন ম্যানেজার জ্যোতি চক্রবর্তী জানান, যাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনা ঘটেছে তাঁদের সংযোগ জুড়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এর আগে কোনওদিন আমাকে এরকমভাবে অপদস্থ হতে হয়নি।” একবার সংযোগ বিছিন্ন হওয়ার পর আবার কি ভাবে সংযোগ দেওয়া হবে তাঁর অবশ্য উত্তর মেলেনি। বিদ্যুৎ আধিকারিকদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক চিত্ত সিংহরায় বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। দফতরের উর্দ্ধতন আধিকারিকেরা তৎপর হলে এই ঘটনা ঘটত না। তবে দফতরে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না।” |