বসল জেনারেটর, অনাময়ে কর্তাকে পেয়ে অভিযোগও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বর্ধমান অনাময় হাসপাতালে একটি জেনারেটরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রচুর অভিযোগ শুনতে হল বর্ধমান জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি দেবু টুডুকে।
হাসপাতালের কর্মীরা জানালেন, কর্মীর সংখ্যা খুবই কম। আইসিইউ-তে বাতানুকূল যন্ত্র থাকলেও আজও তা চলেনি। সঙ্কটজনক রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়েরা রাতে থাকলেও বসার জন্য টুল পর্যন্ত পান না। অভাব রয়েছে নানা যন্ত্রপাতিরও।
দু’বছর আগে অনাময় হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি মর্যাদা পেলেও এত দিন সেখানে কম শক্তির জেনারেটরে কাজ চালানো হচ্ছিল। লোডশেডিংয়ে তা দিয়ে গোটা হাসপাতালে আলো জ্বালানো বা অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হত না। সম্প্রতি জেলা পরিষদ প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের একটি ১৬০ কেভি জেনারেটর কিনে দিয়েছে। বুধবার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি প্রিয়া সূত্রধরকে সঙ্গে নিয়ে দেবুবাবু সেটিরই উদ্বোধন করতে যান। |
ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অসিতবরণ সামন্ত স্বীকার করে নেন, “হাসপাতালের বিদ্যুৎহীন দশা নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনের জেরেই সকলে নড়ে-চড়ে বসেন। তার পরেই এই জেনারেটর বসেছে।” তবে জেনারেটরটি এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি। হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে, সিমেন্ট ঢালাই করে যন্ত্রটি বসানো হয়েছে। এখনই সেটি চালানো হলে ঢালাই ফেটে যাবে। তাই আরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে।
পরে সভাধিপতি কার্ডিওলজি বিভাগ ঘুরে দেখার সময়ে সেখানকার হেড নার্স জয়শ্রী ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, আইসিইউ-তে ভেন্টিলেশনে রাখা রোগীদের জন্য একান্ত দরকারি সিরিঞ্জ পাম্প ও ইনফিউশন পাম্প নেই। বর্ধমান মেডিক্যালের পদস্থ কর্তারা বলেন, ওই যন্ত্রগুলি পাঠানো হয়েছিল। সেগুলি গেল কোথায়? চুরি হয়ে গিয়েছে? এই নিয়ে তদন্ত হবে বলেও তাঁরা জানিয়ে দেন। অসিতবাবু বলেন, “ওই বিভাগকে নতুন করে যন্ত্র দেওয়া হবে। তবে সম্ভবত আগের পাঠানো সিরিঞ্জ পাম্প বা ইনফিউশন পাম্প ওই হাসপাতালেরই কোথাও রয়েছে। কর্মীদের সেগুলি খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।”
বর্ধমান মেডিক্যালের এক কর্তা জানান, ওই যন্ত্রগুলি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েক দিন আগেই সুপারকে চিঠি লিখেছিলেন অনাময় হাসপাতালের ডেপুটি সুপার। এ দিন আবার ডেপুটি সুপার শিবাশিস দাস দাবি করেন, যন্ত্রগুলি হাসপাতালেই রয়েছে। সেগুলি খুঁজে পাওয়া না গেলে তদন্ত হবে। কর্মীদের জেরাও করা হবে। সভাধিপতি বলেন, “জেলা পরিষদের তরফে যা করার, এক সপ্তাহের মধ্যে করে দেওয়া হবে।” |