প্রদেশ সভাপতির দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
আসানসোল পুরসভায় কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্ব চলছেই।
কংগ্রেসের মেয়র পারিষদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যাহার না করায় পরবর্তী রণনীতি ঠিক করতে বুধবার পুরসভার এক্সিকিউটিভ হলে বৈঠক করেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কাটাতে দলীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে লিখিত মতামত চাওয়া হবে। সেই মত খাম বন্ধ অবস্থায় ৩০ সেপ্টেম্বর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের হাতে পৌঁছে দেবেন পরিষদীয় দলনেতা তথা ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। তারপর প্রদেশ সভাপতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করবেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত এক কাউন্সিলর জানান, এ দিনের বৈঠকে কোনও তাঁরা কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা চাইছেন বোর্ড থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। আবার কয়েকজন কাউন্সিলর চাইছেন, পুরসভার প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে বাইরে থেকে জোটকে সমর্থন দিয়ে বোর্ড টিকিয়ে রাখতে। এই গোষ্ঠীর যুক্তি, এই নীতি নিলে সিপিএম ও তৃণমূল দু’পক্ষকেই সমান দুরত্বে রাখা যাবে। আবার তাঁরা যে উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করছে সেটাও কেউ বলতে পারবে না।
আসানসোল পুরসভায় মোট কাউন্সিলারের সংখ্যা ৫০। তিনজন কাউন্সিলার মারা যাওয়ায় বর্তমানে রয়েছেন ৪৭ জন। তাঁদের মধ্যে বামেদের ১৮ জন, তৃণমূলের ১৭ জন ও কংগ্রেসের ১২ জন। গত ২৩ অগস্ট কংগ্রেসের মেয়র পারিষদ (শিক্ষা ও সংখ্যালঘু উন্নয়ন) গোলাম সরওয়ারকে পদ থেকে সরিয়ে দেন কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পরিচালিত পুরসভার মেয়র তৃণমূলের তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। গোলামবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পদে থাকাকালীন মেয়রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এবং পুরসভার একাধিক বেনিয়ম নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। মেয়রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। তাঁরা মেয়রকে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু তারপরেও মেয়র তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি।
এ দিন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেয়রের আচরণ আমাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে দ্রুত মুক্ত হতে চাইছি। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব।” তিনি জানান, বোর্ডের সঙ্গ পরিত্যাগ করা আপাতত কোনও রাস্তা নেই। তবে এবিষয়ে আমরা এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না।
মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য রাখতে চাননি। |