নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
‘রক ক্লাইম্বিং ওয়াল গড়তে’ জায়গা চিহ্নিত করে ঘেরা দিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ প্রকল্প গড়ে না ওঠায় তা ফাঁকাই পরে রয়েছে। শিলিগুড়ির তৃতীয় মহানন্দা সেতু লাগোয়া ওই খালি জায়গায় ল জমে তা মশার আঁতির ঘরে পরিণত হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জমা জলে মশা জন্মাচ্ছে। এলাকার অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত। তার উপর শহরে যেভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়েছে তাতে সকলেই উদ্বিগ্ন রয়েছেন। শিলিগুড়ি পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে রয়েছে ওই এলাকা। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের কাউন্সিলর ইস্তফা দেওয়ার পর আসনি খালি রয়েছে। ৪ নম্বর বরো থেকেই ওয়ার্ড দেখভাল করা হয়। বরো কমিটির চেয়ারম্যান সমীরণ সূত্রধর বলেন, “দ্রুত ওই জায়গার পরিস্থিতি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
রক ক্লাইম্বিং ওয়াল গড়তে চিহ্নিত জায়গায় কোনও
কাজ না করে ফেলে রাখা হয়েছে।—নিজস্ব চিত্র। |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে ওই জায়গায় রক ক্লাইম্বিং ওয়াল গড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। বছর খানেক আগে সেখানে প্রকল্পের শিলান্যাসও করা হয়। অথচ তার পর থেকে কোনও কাজ হয়নি। শিলিগুড়ির সূর্যসেন পার্কে একটি রক ক্লাইম্বিং ওয়াল গড়ে তোলার পর শহরের ওই জাগায় ফের আরেকটি রক ক্লাইম্বিং ওয়াল তৈরি না করে অন্য কিছু করতে চান এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ওই নিচু জায়গায় জল জমছে। ওই জায়গায় ডমে থাকা বর্ষার জল বার হওয়ার রাস্তা নেই। অনেকটা এলাকায় জল জমে প্রায় পুকুরের আকার নিয়েছে। সেটি এখন মশা জন্মানোর উৎসতে পরিণত হয়েছে। এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের তরফেও বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভার তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হচ্ছে অথচ এই বিষয়টি তাদের নজরে পড়ছে না কেন তা স্পষ্ট নয়। ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রয়োজনে তারা আন্দোলনে নামবেন। স্বাস্থ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী তাঁদের কয়েক জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবানু মিলেছে। অথচ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতর বা পুর কর্তৃপক্ষ জমে থাকা ওই জল বার করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। |