নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। বিষ্ণুপুর থানার আগুনকুমারি গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামের বাসিন্দা গুণবতী সর্দার (৯০) সোমবার রাতে বাড়িতেই মারা যান। খবর পেয়ে রাতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু করেন। অসুস্থদের মধ্যে ১৩ জনকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরেশ দাস বলেন, “ওই বৃদ্ধার যথেষ্ট বয়স হয়েছিল, তার উপর ডায়েরিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়।” |
হাসপাতালে আক্রান্তেরা।— নিজস্ব চিত্র। |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গুণবতীদেবীর পুত্রবধূ ময়না সর্দারের প্রথমে পেটে যন্ত্রণা, বমি-পায়খানা শুরু হয়। পরে গুণবতীদেবী অসুস্থ হয়ে পড়েন। আগে ময়নাদেবীকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুণবতীদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য দফতরের একটি মেডিক্যাল টিম গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত আট জনকে ওই রাতেই হাসপাতালে পাঠায়। মঙ্গলবার সকালে আরও চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা ময়নাদেবী বলেন, “রবিবার দুপুরে ভাত খাওয়ার পরেই পেটে যন্ত্রণা ও ঘন ঘন পায়খানা, বমি শুরু হয়। পরে শাশুড়িও নেতিয়ে পড়ে মারা যান। শ্যালোপাম্পের জল খাওয়ার জন্যই এই গণ্ডগোল হল কি না বুঝতে পারছি না।”
শিশু ওয়ার্ডে মঙ্গলবার ভর্তি করা হয় ওই গ্রামের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা সর্দারকে। তার মায়ের আশঙ্কা, “গ্রামের অনেকের মতোই মেয়েও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ওকে নিয়ে খুব ভয়ে আছি।” সুরেশবাবু বলেন, “ওই গ্রামে টিউবওয়েল থাকলেও গ্রামবাসীদের একাংশ পুকুর ও শ্যালোপাম্পের জল পান করেন। ডায়েরিয়ায় তাঁরাই মূলত আক্রান্ত হয়েছেন।” বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুভাষচন্দ্র সাহা বলেন, “হাসপাতালে ওই গ্রামের ছ’জন পুরুষ, পাঁচ জন মহিলা ও দু’জন শিশু ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁরা আগের থেকে অনেকটা ভাল আছেন।” |