নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের উল্টো দিকে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দিলেন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবারই তারা অভিযুক্ত নির্মাতা ওষুধের দোকানের মালিকদের চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের কাছেও। কিন্তু তাতে বাস্তবে ওই কাজ বন্ধ রাখা আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়েই একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। কেন অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব পুর কমিশনারকে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। সেই মতো পুরসভার বাস্তুকাররা খতিয়ে দেখে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তাও গভীর রাতে কাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রী, মেয়রের নির্দেশের পরেও ওই ব্যবসায়ীরা কী ভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। অভিযোগ পেয়ে এ দিন ওই ওষুধ ব্যবসায়ীদের পুরসভায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গভীর রাতে বা কখনও ফের নির্মাণ কাজ চালানোর চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন। ওষুধের দোকানগুলির ব্যবসায়ীদের অন্যতম প্রদীপ পাল, উত্তম সাহা জানিয়েছিলেন, পুরসভার নির্দেশের পর তারা কাজ করছেন না। পুরনো দোকান ভেঙে যাওয়ায় তারা মেরামত করছিলেন। মেয়র বলেন, “কোনও ভাবেই অবৈধ নির্মাণ কাজ বরদাস্ত করা হবে না তা ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ওই কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তার পরেও নির্মাণ কাজ চালানোর চেষ্টা হলে পুরসভার তরফে ভেঙে দেওয়া হবে। ব্যবসায়ীরা দাবি করেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিখিল সাহানির অনুমতি রয়েছে তাঁদের কাছে। কী অনুমতি কাউন্সিলর তাদের দিয়েছেন তা দেখাতে বলা হয়েছে।” নিখিলবাবু জানিয়েছেন, ওই ব্যবসায়ীরা ঠিক কথা বলছেন না। তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও রকম অনুমতি তাদের দিইনি।” নিখিলবাবুর অভিযোগ, নিষেধ করার পরেও কী ভাবে তাঁরা ওই নির্মাণ কাজ করছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বিল্ডিং বিভাগটি মেয়রই দেখেন। অথচ তিনি অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিতে পারছেন না বলে নিখিলবাবুর অভিযোগ। কংগ্রেসের একাংশের প্রশ্ন, নিখিলবাবু ৩ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান। অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে তিনি বরো কমিটির তরফে নির্দেশ দিতে পারতেন। তিনি কেনও তা করেননি। নিখিলবাবুর কথা, পুর কর্তৃপক্ষ কাজ দেখলে বরো থেকে হস্তক্ষেপ করা হয় না। পুর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে না পারলে জানাক। বরো থেকে তারাই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। অবৈধ নির্মাণে পুরসভার ও এসজেডিএ’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি জেলা সভাপতি নৃপেন দাস অভিযোগ করে বলেন, “এসজেডিএ, পুর কর্তৃপক্ষ কেউই এই ব্যাপারে সঠিক ভাবে তাঁদের ভূমিকা পালন করতে পারছেন না। এর পিছনে একটা চক্র কাজ করছে। আর্থিক লেনদেন তো রয়েইছে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.