মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসার অপেক্ষায় সাজিয়ে তোলা হয়েছিল বাঁকুড়ার সার্কিট হাউস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে এলেন না। বাঘমুণ্ডির জনসভা সেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি সটান গিয়ে ওঠেন খাতড়া মহকুমাশাসকের অফিসে। সেখানেই তিনি জেলার উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠক করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে প্রথমে জানানো হয়েছিল, ওই বৈঠক সার্কিট হাউসে হবে। গত শনিবার থেকে তাই সার্কিট হাউস সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। নতুন করে আকাশি নীল ও সাদা রং পড়ে সার্কিট হাউসের দেওয়ালে। ঝোপ-ঝাড় সাফ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে থাকা ফোয়ারাও মেরামত করা হয়। সার্কিট হাউস চত্বরে বাঁধা হয় বিরাট প্যান্ডেল। প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাড়াও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যরা বৈঠকে থাকবেন বলে সার্কিট হাউসের কনফারেন্স হলের বদলে প্যান্ডেলে বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল। কাজ চলছিল পুরোদমে। তাল কাটল সোমবার রাত প্রায় ১১টায়। খবর আসে, সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। সার্কিট হাউসের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন খাতড়া মহকুমাশাসকের দফতরে। |
হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল হল কেন? জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী রাতে মুকুটমণিপুরে থাকছেন। বুধবার বারিকুলে তাঁর সভা। সার্কিট হাউসে বৈঠক সেরে মুকুটমণিপুর যেতে অনেক রাত হয়ে যেত বলে সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়েছে।” এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সার্কিট হাউস সাজানো হল। অযোধ্যাপাহাড়েও তাঁর থাকার ব্যবস্থা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হল। অথচ তিনি বলে বেড়ান ব্যয়সংকোচ করতে পছন্দ করেন। বাস্তবে তার মিল নেই।” তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্তার পাল্টা দাবি, “বর্ষার পরে সার্কিট হাউস পরিচ্ছন্ন করার কাজ হতই। মুখ্যমন্ত্রীর সফর উপলক্ষ্যে সেই কাজটাই একটু আগে হয়ে গেল।” |