এ বার পুরভোটে ক্ষমতা দখল করা তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নয়, দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেসেরও কোনও প্রার্থী নয়। সবচেয় বড় ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারালেন এক বিজেপি প্রার্থী। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মৌসুমী দে ৬১০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের কল্যাণী হাজরাকে পরাজিত করে।
|
মিষ্টিমুখ। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
তবে অঙ্ক নিয়ে মাথা ঘমাতে রাজি নন মৌসুমীদেবী। বললেন, “জিতেছি সেটাই বড় কথা। কত ভোটে সেটা বিষয় নয়।” গত বার ওই আসন থেকেই বিজেপি প্রার্থী গোপা মুখোপাধ্যায় অবশ্য জয়ী হয়েছিলেন মাত্র ১০৮ ভোটে।
|
দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পীযূষ পাণ্ডে। —নিজস্ব চিত্র। |
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন যাঁরা, সেই প্রাক্তন পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে, কাউন্সিলর মির্জা সৌকত আলিরা নিজের আসন ধরে রাখতে পারলেও এমনকী নিজের স্ত্রী স্বপ্না বাউড়িকে (মহিলা সংরক্ষিত হওয়ার) জিতিয়ে এনেছেন ফকির বাউড়িও। শুধু মাত্র হারের মুখ দেখতে হল গত তিন বারের উপ-পুরপ্রধান নুর মহম্মদকে। যিনি দল বদলে তৃণমূলের হয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছিলেন। হারতে হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী শেখ নাজিরউদ্দিনের কাছে। ব্যবধান ৪৫৬। কেন এমন হল, সেটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বলে জানিয়েছেন নুর মহম্মদ।
|
তিনটি ভোট। হ্যাঁ এ বার পুরভোটে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী উত্তম মিশ্রের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা তাই-ই এবং এবারের দুবরাজপুরের পুরভোটে কোনও প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কম। সিপিএম অবশ্য বলছে, ওই ওয়ার্ডে তাদের সংগঠন দুর্বল। |