এলাকার বাসিন্দাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল কমিউনিটি হল। সে বছর দু’য়েক আগের কথা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৈরি হওয়া ইস্তক দু’বছর অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে ওই ভবন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নজরদারির অভাবে ভবনের ঘর থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, পানীয় জলের পাইপ এমনকী দু’ দু’টি কাঠের দরজাও। |
সুতি-১ ব্লকের বর্ধিষ্ণু গ্রাম হারোয়া বাস প্রায় ৯ হাজার মানুষের। গ্রামে বিয়ে-সহ নানা পারিবারিক অনুষ্ঠান লেগেই রয়েছে নিত্যদিন। গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুল খোলা থাকলে অনুষ্ঠান করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামবাসীকে। সমস্যার সমাধানে ২০০৮ সালে আরএসপি-র সাংসদ অবনী রায় একটি কমিউনিটি হল তৈরির জন্য ১২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা মঞ্জুর করেন। ২০১১ সালে সুতি-১ ব্লকের তত্কালীন বিডিও-র তত্ত্বাবধানে ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়। সেই বছরই অবনীবাবু ভবনে পানীয় জল ও বৈদ্যুতিকীকরণের জন্য আরও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেন। কাজ শেষ হলেও ওই পর্যন্তই।
গ্রামের বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘গ্রামে এ’রকম হল হওয়ায় সকলেই খুশি হয়েছিল। হল তৈরির জন্য গ্রামেই পড়ে থাকা ১০ শতক জমিও দিয়েছিল জেলা পরিষদ। কিন্তু ভবনটি কে দেখভাল করবে তা ঠিক না হওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি কেউই উদ্যোগী হয়নি।” সুতির পূর্বতন বিধায়ক আরএসপি-র জানে আলম মিঞা বলেন, “দু’ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও ওই ভবন ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। ব্যবস্থা নেই নজরদারিরও। ফলে অবাধ চুরি চলছে। বহু বার বিষয়টি বিডিওদের জানালেও ফল হয়নি।” হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আরএসপি-র প্রাণ রবিদাস বলেন, “ওই ভবনের দায়িত্ব ব্লক অফিসারের। যত দূর জানি ব্লক অফিসেই তার চাবিও রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত, ভবনের দায়িত্ব পেলে তা গ্রামবাসীদের জন্য আগেই খুলে দিতে পারত। কিন্তু সে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।” বিডিও দীপঙ্কর রায় বলেন, “আমি সবেমাত্র ব্লকের দায়িত্বে এসেছি। কমিউনিটি হলটির এমন অবস্থা কথা আমি জানতাম না। যে করেই হোক যত দ্রুত সম্ভব এই সরকারি হল চালুর ব্যবস্থা করা হবে। তবে ভবন থেকে জিনিস যাতে চুরি যাতে না যায় তা গ্রামবাসীদের দেখতে হবে। কারণ তাদেরই জন্যই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে।” |