স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরে যাবজ্জীবন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত বছর পঁয়তাল্লিশের দিলীপ রানার বাড়ি জামবনির চিচিড়া গ্রামে। ঝাড়গ্রাম দায়রা আদালতের সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় জানান, ১৯৯৫ সালে ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার বাসিন্দা নন্দিতা রানার সঙ্গে জামবনির চিচিড়া গ্রামের পেশায় দর্জি দিলীপ রানার বিয়ে হয়। |
|
দিলীপ রাণা।— নিজস্ব চিত্র। |
নন্দিতাদেবীর একটি ছেলে ও একটি মেয়েও হয়। বিয়ের আট বছর পর ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে চিচিড়ায় শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন নন্দিতাদেবী। দু’মাস পর ২০০৩ সালের ২৪ এপ্রিল মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে নন্দিতাদেবীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে নন্দিতাদেবী জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে বড় জায়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তার প্রতিবাদ করায় বড় ভাসুর ও বড় জা’য়ের প্ররোচনায় তাঁর গায়ে কোরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন স্বামী দিলীপবাবু।
নন্দিতাদেবীর বাবা শঙ্কর রানা জামবনি থানায় দিলীপবাবু-সহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মূল অভিযুক্ত দিলীপবাবু গ্রেফতার হন। তিন মাস পরে তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। বাকি দুই অভিযুক্ত দিলীপবাবুর দাদা মানস রানা ও তাঁর স্ত্রী অমিতা রানা মেদিনীপুর জেলা আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়ে যান। ২০০৮ সালের মে মাসে ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে মামলাটির বিচার শুরু হয়। বিভিন্ন সময়ে দশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত। সরকারি কৌঁসুলি প্রশান্ত রায় জানান, মঙ্গলবার দিলীপবাবুকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। নগদ দশহাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করেছেন বিচারক। তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে দিলীপবাবুর দাদা ও বৌদিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। |
|