|
|
|
|
জল বিভাজিকা নিয়ে কর্মশালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জল বিভাজিকা নিয়ে কমর্শালা শুরু করল প্রশাসন। মঙ্গলবার থেকে এই কর্মশালা হচ্ছে শালবনি কমিউনিটি হলে। তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন শালবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ।
ব্লকের বিষ্ণুপুর-লালগেড়িয়া মিলি ওয়াটার শেড প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে আগেই। এ বার দ্রুত গতিতে তা রূপায়ণের পালা। কিন্তু কী ভাবে সেই উন্নয়ন ঘটানো হবে, গ্রামে মানুষের চাহিদা কী, সে মানুষকে বোঝাতেই এই কর্মশালার আয়োজন বলে কৃষি ও ভূমি সংরক্ষণ দফতরের-সহ কৃষি অধিকর্তা দিব্যেন্দু সামন্ত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্প রূপায়িত হবে গ্রামের মানুষের চাহিদা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী। এই পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট জলবিভাজিকা এলাকার স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরাই। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ৪৫টি স্ব-সহায়ক দল তৈরিও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ কী ভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন, তা বোঝাতেই কর্মশালা।” রোজ ১৫টি করে তিন দিনে ৪৫টি স্ব-সহায়ক দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বিষ্ণুপুর-লালগেড়িয়া জল বিভাজিকা এলাকায় ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ক্ষুদ্র জলবিভাজিকা রয়েছে। কৃষকের প্রয়োজনে সেচের ব্যবস্থা, জমি সমতলীকরণ, মৎস্য চাষ, পশুপালন থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, এর দ্বারা সবেরই উন্নয়ন হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই জলবিভাজিকার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে দিব্যেন্দুবাবু জানান। ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়াটার শেড প্রকল্পে’র কাজ জেলা জুড়েই ঢিমেতালে চলছে।
২০১১-১২ আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জন্য ১৬টি প্রকল্প মঞ্জুর হয়েছিল। এক একটি জন্য ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়। কিন্তু প্রকল্প রূপায়নে ততটা পদক্ষেপ না হওয়ায় ক্ষোভ দেখা দেয়। যদিও প্রশাসনিক কর্তাদের দাবি, রাজ্যে সরকার পরিবর্তন, তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন - এসব নানা কারনে প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি ঘটেনি। এবার দ্রুত গতিতেই কাজ এগিয়ে চলবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন। কর্মশালায় কৃষি ও ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের উপ-অধিকর্তা শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ, সহ-অধিকর্তা সুকুমার কিস্কু উপস্থিত ছিলেন। |
|
|
|
|
|