|
|
|
|
শ্রমিকরা মুখ ফেরানোয় বড় শরিককেই দুষছে সিপিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বামফ্রন্ট থেকে মুখ ফেরানোয় পরোক্ষে সিপিএমকেই দুষল সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি।
সোমবারই খড়্গপুরে শেষ হয়েছে সংগঠনের ২৫ তম রাজ্য সম্মেলন। সংগঠনের স্বীকারোক্তি, ‘বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন থাকলেও শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ, সংগঠিত, অসংগঠিত উভয় ক্ষেত্রের শ্রমিকদের একটা বড় অংশ বামপন্থীদের প্রতি আস্থা হারায়। শেষের দু’বছর ছাড়া বাম শাসনকালে রাজ্যের শ্রম দফতর শ্রমিকদের বাঁচানোর পরিবর্তে মালিকদের বেশি সাহায্য করেছে। ৩৪ বছরে বামফ্রন্টের ক্ষমতাবান নেতৃত্ব ও কর্মীদের ঔদ্ধত্য, দাম্ভিকতা, অসহিষ্ণুতা এবং নৈতিক অধঃপতনের কারণে মেহনতি মানুষের থেকে বামপন্থীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।’
তিন দিন ধরে চলা এআইটিইউসির রাজ্য সম্মেলন হয় রেলশহর খড়্গপুরে। সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ গুরুদাশ দাশগুপ্ত। সম্মেলনের শুরুতে সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন এআইটিইউসির রাজ্য সম্পাদক রণজিৎ গুহ। এ বারের সম্মেলন থেকে তিনিই ফের সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক হন। সম্মেলনে ৫৯ পাতার প্রতিবেদনে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেরিতে হলেও তৎকালীন রাজ্য সরকার শিল্প বিকাশে উদ্যোগী হয়। কিন্তু, সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের কতগুলো অনভিপ্রেত ঘটনায় জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বেও রাজ্যে শ্রমিক আন্দোলন ও শ্রমিক অধিকার খর্ব করার প্রক্রিয়া চলছে। শিল্প বিকাশের প্রশ্নেও সরকারের সমালোচনা করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এআইটিইউসির মেতে, বর্তমান সরকারের আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, কৃষি-শিল্পনীতি এবং শ্রমনীতিতে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলছে। তাদের অভিযোগ, শ্রমিকের সংগ্রামে রাজ্য সরকার ও শ্রম দফতরের নীতি অস্পষ্ট। ভবিষ্যতে রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষা ও শ্রমিক আন্দোলনের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য বলে এআইটিইউসি নেতৃত্ব জানান। |
|
|
|
|
|