সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে গুসকরায় তিরবিদ্ধ তিন
ংঘর্ষ হয়েছিল ভোটের দিনই, তাই ফল প্রকাশের দিনেও গণ্ডগোলের আশঙ্কা ছিল। সেটাই সত্যি হল। মঙ্গলবার গণনা কেন্দ্রের সামনে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে তির ছুটল, বোমাও পড়ল। তিরবিদ্ধ তিন তৃণমূল সমর্থক গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি।
ভোটের ময়দানে পরিচিত এই ছবিতে অবশ্য একটু অপ্রত্যাশিত মোড়ও আছে। এ দিনের ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে শাসকদল তৃণমূল। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাস্তা অবরোধও করলেন তৃণমূল সমর্থকরা। আর পুলিশের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সিপিএম।
এ দিন পিপি ইনস্টিটিউটে গুসকরা পুরভোটের গণনা হচ্ছিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে গণনা শেষের পরই স্পষ্ট হয়ে যায় তৃণমূল ফের পুরবোর্ড দখল করতে চলেছে। গণনাকেন্দ্রের সামনে স্কুলমোড়ে বিদায়ী পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াইকে সামনে রেখে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল সমর্থকেরা। তাতেই ক্ষুব্ধ হন সিপিএম সমর্থকরা। আউশগ্রাম ব্লকের নানা প্রান্ত থেকে এসে তাঁরা সিপিএমের দলীয় দফতরের দিকে ভোর থেকেই জড়ো হয়েছিলেন। হাতে ছিল তির-ধনুক, টাঙ্গি, লাঠি। তৃণমূলের উল্লাস দেখে তাঁরা দাবি তোলেন, তৃণমূল সমর্থকদের গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকে সরাতে হবে। তাতে তৃণমূলও উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
গুসকরায় তির-ধনুক হাতে আক্রমণাত্মক সিপিএম কর্মীরা। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
দু’পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যেই সিপিএমের দিকে উড়ে-যাওয়া ইঁট পুলিশের গাড়িতে গিয়ে পড়ে। তারপরেই সিপিএমের দিক থেকে একের পর এক তির ছোঁড়া হয়। আহত হন তিন তৃণমূল সমর্থক। আর এক তৃণমূল কর্মীকেও মারধর করা হয়। তিনি এখন গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি আছেন। এরপরই তৃণমূলের সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বর্ধমান-সিউড়ি রোড ধরে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী লাঠি সোঁটা নিয়ে সিপিএমের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ দুপক্ষকেই কোনওরকমে নিয়ন্ত্রণ করে।
এর পরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য-বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী মল্লিকা চোঙদার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন। দশ মিনিটের মধ্যে গণনাকেন্দ্রের সামনের এলাকা ফাঁকা করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। সেখানে তখন অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) তরুণ হালদার সহ একাধিক পুলিশ কর্তা। মল্লিকাদেবীর কথা শেষ হওয়া মাত্রই একের পর এক বোমার আওয়াজ শোনা যায়। কিছু পরেই দেখা যায়, সিপিএম সমর্থকেরা যেখানে বসেছিলেন সেই জায়গা তখন দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। সিপিএমের সমর্থকেরা পিছু হটেছেন। এরপরই তৃণমূলের সমর্থকেরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে স্কুল মোড়ে পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশের অনুরোধে তা উঠে যায়।
ঘটনার পর গুসকরায় এসে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটকও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তাঁর অভিযোগ, “আমিও দেখেছি সিপিএম সমর্থকেরা তির-ধনুক নিয়ে বসেছিল। পুলিশ তাঁদের হটিয়ে দেয়নি। আশা করি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” তবে সিপিএমের গুসকরা জোনাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মজুমদার বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের কর্মী সমর্থকদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি তৃণমূল। তাই এলাকার মানুষ এদিন তির-ধনুক নিয়ে জমায়েত করেছিল। পুলিশের ভূমিকা সদর্থক ছিল বলেই তৃণমূলের গোঁসা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.