একশো দিনের কাজে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। সিপিএম পরিচালিত কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃণমূলের এমন অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল স্থানীয় রাজকুসুম গ্রামে। দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে জখম হন নন্দ বাগদি ও চিন্ময় মুখোপাধ্যায় নামে দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই গ্রামে একশো দিনের কাজে নালা সংস্কারের কাজ করা হবে। মঙ্গলবার সকালে প্রায় শ’দেড়েক বাসিন্দা জড়ো হন কাজের আশায়। এই সময় সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বেছে বেছে সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদেরই কাজ দেওয়া হচ্ছিল। সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জোর করে সুপারভাইজার পদে তাঁদের লোক রাখার দাবি জানানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫০ জন পিছু একজন করে সুপারভাইজার থাকার কথা। সব পদেই নিজেদের লোকদের রাখার দাবি জানায় তৃণমূল। সিপিএমের অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে বাইরে থেকে একদল লোক আসে ঘটনাস্থলে। দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা ও পরে মারামারি শুরু হয়ে যায়। |
আহত চিন্ময় মুখোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।
|
কাঁকসার ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। তাই আতঙ্ক ছড়াতে এভাবে সিপিএম হামলা চালিয়েছে।” স্থানীয় সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য সুজয় মুখোপাধ্যায়ের প্ররোচনাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। তবে সুজয়বাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন কাঁকসা জোনাল সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল বলেন, “দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দু’পক্ষেরই কয়েকজন সামান্য জখম হয়েছেন।” বীরেশ্বরবাবুর পাল্টা দাবি, তৃণমূলের নিজেদের দখলে থাকা কাঁকসার বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে একশো দিনের কাজ শুরু করতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু সিপিএম পরিচালিত ত্রিলোকচন্দ্রপুর সে কাজ শুরু করেছিল। তৃণমূলের বাধায় তা থমকে গেল। |