দু’টি কুষ্ঠপল্লী পরিদর্শন করতে এলেন একটি বিশেষজ্ঞদল। সোমবার আসানসোলে এই বিশেষজ্ঞদলের নেতৃত্ব দেন ফোরাম অফ পার্লামেন্টারিয়ান টু ফ্রি ইন্ডিয়া লেপ্রোসির আহ্বায়ক তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুষ্ঠ রোগ বিশেষজ্ঞ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ইয়াহুই সাসা কাওয়া। এ দিন তাঁরা দু’টি কুষ্ঠপল্লীর বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের নানা অভিযোগ শোনেন। বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা নিয়ে জীবন যাপনের মানোয়ন্নন কীভাবে করা যায় সে বিষয়েও অবগত করেন তাঁরা। |
পরিদর্শন শেষে ফোরাম অফ পার্লামেন্টারিয়ান টু ফ্রি ইন্ডিয়া লেপ্রোসির আহ্বায়ক তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী জানান, সরকারের লক্ষ দেশ থেকে এই রোগ নির্মূল করা। কুষ্ঠ নিবারনের কাজে যুক্ত জাপানের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এই লক্ষ্যে তাঁরা নেমেছেন বলে জানিয়েছেন দীনেশবাবু। একটি পরিসংখ্যান দিয়ে এ দিন বিশেষজ্ঞ দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত এক বছরে সারা দেশে প্রায় বারো হাজার নতুন কুষ্ঠরোগীর সন্ধান মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গের ৯টি জেলার প্রতি ১০ লক্ষ মানুষ পিছু ১০ জন করে এই রোগে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। দলটি জানিয়েছে, এদেশে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও গুজরাটে কুষ্ঠ রোগ আক্রান্তের সংখ্যা তুলনায় বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ইয়াহুই সামা কাওয়া ও দীনেশবাবু জোর দিয়েছেন এই রোগ আক্রান্তদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ের উপর। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা দাবি করেছেন, এই দেশের প্রায় ৮৫০টি কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দাদের মানবাধিকার কোনও না কোন ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জন সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। আসানসোলের হিরাপুর থানা এলাকার রহমত নগর ও কাকড়ডাঙা কুষ্ঠপল্লী দু’টি দীনেশবাবু পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, এই দু’টি পল্লীর বাসিন্দারা এখন আর কেউ অসুস্থ নন। নিয়মিত চিকিৎসা করিয়ে তাঁরা বর্তমানে সুস্থ। কিন্তু তাঁরা বা তাঁদের পরিবারের আর কেউ এই অসুখে আক্রান্ত না হন তার জন্য কী করনীয় তা তাঁদের বোঝানো হয়। |