সংখ্যালঘুদের জন্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরে ছ’মাস কেটে গেলেও কাজ হয়নি কিছুই। এমন কী হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ করা হয়নি একটা টাকাও।
চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চণ্ডীপুর মাঠে সরকারি একটি অনুষ্ঠানে এসে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলমুড়িতে প্রায় ৫২ বিঘা জমি রয়েছে সেচ দফতরের। তার মধ্যে নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন প্রায় ১৫ বিঘা জমি চিহ্নিত করে ওই হাসপাতাল নির্মাণের কথা। অথচ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরির জন্য এখনও ওই জমি সেচ দফতর হস্তান্তর করেনি বলে ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। |
প্রস্তাবিত হাসপাতাল তৈরির জায়গা।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই হাসপাতাল তৈরির কথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের। তার জন্য প্রাথমিক ভাবে ৩২ কোটি টাকা খরচ হিসাবে ধরা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও টাকাই ওই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়নি বলে জানিয়েছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর। বারুইপুরের মহকুমাশাসক পার্থ আচার্য বলেন, “ওই হাসপাতাল তৈরির ব্যাপারে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। ওই প্রকল্পের কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।” এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযাগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা বলেন, “হাসপাতাল তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করার চেষ্টা চলছে। যদিও এখনও কোনও টাকা বরাদ্দ করা হয়নি।”
শিলান্যাসের পর ৬ মাস কেটে গেলেও হাসপাতালের কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সুরজ মোল্লা, মাহবুব মোল্লার মতো স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “হাসপাতাল হলে শুধু এই এলাকা নয়, দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের উপকার হবে। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার পরেও এতদিনে একটা ইট গাঁথা হল না।” |