সোমবার নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ির প্রায় আড়াই হাজার পরিবারকে জমির পাট্টা তুলে দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সেই সঙ্গে, রেশন কার্ড, জাতিগত শংসাপত্র, কিসান ক্রেডিট কার্ডও বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বাসিন্দাদের সাইকেলও বিলি করা হয়েছে। এ দিন নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি দুই ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। দার্জিলিঙের জেলাশাসক পুনিত যাদব সহ শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক দীপপ্রিয়া উপস্থিত ছিলেন। ‘মানুষের কাছে চলো যাই’ প্রকল্পে নকশাল বাড়িতে ১১৯টি সাইকেল, ৪৩২টি জমির পাট্টা, ৬৪টি কিসান ক্রেডিট কার্ড, ৩৯৯টি রেশন কার্ড বিলি করা হয়েছে। |
নকশালবাড়ির অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
খড়িবাড়িতে ৬৯৪টি জমির পাট্টা, ২৪৪টি রেশন কার্ড, ৩৪৩টি জাতিগত শংসাপত্র, ৫০টি কিসান ক্রেডিট কার্ড সহ ১৫টি কীটনাশক ছড়ানোর যন্ত্র বিলি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “চলতি বছরেই এই প্রকল্প শুরু হয়। সেই সময়ে যা ঘোষণা করা হয়েছিল, সবই রূপায়ণ করার চেষ্টা করছি। আজকে যে পরিবারগুলি সরকারি সুবিধে পেলেন না, তাঁদেরকে দ্রুত প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।”
নকশালবাড়ির অনুষ্ঠান ছেড়ে মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে তৃণমূল এলাকায় গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে বলে সিপিএমের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। পাশাপাশি এদিনের সরকারি সভাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল সংগঠন বাড়ানোর প্রয়াস করে বলে কংগ্রেস অভিযোগ তোলে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সিপিএমের সভাধিপতি পাসকেল মিন্জ অভিযোগ করেন, “যাঁরা তৃণমূলের আনুগত্য স্বীকার করেন তাঁদেরই পাট্টা দিয়েছেন মন্ত্রী।” সিপিএম নেতা মাধব সরকার বলেন, “নকশালবাড়িতে পাট্টা বিলি শুরু করে মন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তৃণমূলের সমথর্কেরা ঝামেলা বাধায়। পাট্টা প্রাপকের পাট্টা কেড়ে নেওয়া হয়।” গৌতমবাবু বলেন, “পাট্টা প্রাপকদের মধ্যে সব দলের সমর্থক ছিলেন। যারা গত ৩৪ বছর মানুষকে বঞ্চিত করে দলের সমর্থকদের সব সুবিধে পাইয়ে দিয়েছে, তাদের পক্ষে এ ধরনের কথা বলাই সম্ভব।” |