সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়া এক প্রৌঢ়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ মিলল পরের দিন ভোর বেলায়। পাত্রসায়রের কুশদ্বীপ গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশে সোমবার ভোরে সুবোধ পাল (৫০) নামে এক ব্যক্তির দেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলের কাছেই তাঁর বাড়ি। সুবোধবাবু এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত হলেও তাঁকে খুন করার পিছনে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ রাজনৈতিক কারণ নেই বলেই মনে করছে। তাঁর মাথায়, গলায় এবং দেহের নানা জায়গায় খারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও পরাগচন্দ্র ঘোষ বলেন, “ওই ব্যক্তির দেহের ক্ষত চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা খুনের ঘটনা। তবে খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হচ্ছে এই খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণ নেই।” |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধবাবু সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তিনি জুয়া খেলতেন বলেও স্থানীয়দের দাবি। তাঁর স্ত্রী ও দুই বিবাহিত মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছেন। তাঁর ছেলে সন্দীপ বর্তমানে গুজরাটে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। এ দিন সকালে বাড়ির কাছেই সুবোধবাবুর দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। নিহতের স্ত্রী ছবি পাল জানান, বাজারে চা খেতে যাওয়ার কথা বলে স্বামী রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সারা রাত না ফেরায় তিনি খুব চিন্তায় থাকলেও ছেলে না থাকায় কোনও খোঁজ করতে পারেননি। তাঁর অভিযোগ, “ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই পরিকল্পনা করে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।” নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পাত্রসায়র থানার পুলিশ। তৃণমূলের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সুবোধবাবু আমাদের দলের কর্মী ছিলেন। আমাদের সন্দেহ এলাকার কিছু জুয়াড়ি তাঁকে পরিকল্পনা করে খুন করেছে। পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করলেই এই খুনের রহস্য বের হবে।” তাঁরা দলীয় ভাবে পুলিশের কাছে এই দাবিই জানান। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, রবিবার রাতে সুবোধবাবু কিছু লোকের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সুবোধবাবুর ওই সঙ্গীদের খোঁজ শুরু করছে পুলিশ। |