মুখ্যমন্ত্রী রাত কাটানোর কথা অযোধ্যা পাহাড়ে। পর দিন সেখানেই প্রশাসনিক জনসভা। পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে মোতায়েন হয়েছে প্রচুর সংখ্যায় রাজ্য পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের। আর সেই পুলিশকর্মী ও জওয়ানদের রাখার ব্যবস্থা করতে গিয়ে দু’দিনের জন্য বন্ধ রইল পুরুলিয়ার একাধিক স্কুল! বলরামপুর থানার লালিমতি গার্লস হাইস্কুল হাইস্কুল ও ফুলচাঁদ হাইস্কুল, পুরুলিয়া মফস্সল থানার চাকলতোড় হাইস্কুল এবং আড়শা ব্লকের ঝুঁঝকা উচ্চতর বিদ্যালয় সোম ও মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করায় সোমবার স্কুলে মিড-ডে মিল খাইয়ে পড়ুয়াদের ছুটি দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক করে বিকেলের দিকে অযোধ্যা পাহাড়ে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাঁর রাত কাটানো হয়নি। তবু, নিরাপত্তার ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করেছিল জেলা প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। তাঁদেরই অনেককে ঠাঁই করে দিতে বন্ধ রাখা হয়েছে ওই সব স্কুল। |
এ দিন পুরুলিয়া মফস্সল থানার চাকলতোড় হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায় স্কুল বন্ধ। প্রধান শিক্ষক জয়প্রসাদ রাউত জানান, প্রশাসনিক কাজে স্কুল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দু’দিনের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। একই কারণে স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বলরামপুরের ফুলচাঁদ হাইস্কুল ও লালিমতি গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। লালিমতির প্রধান শিক্ষিকা জয়া দত্ত জানান, স্কুলে পুলিশকর্মীরা থাকায় ক্লাস করানো সম্ভব নয়। তবে, চাকলতোড় হাইস্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এ দিন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চলেছে। পড়ুয়াদের মধ্যে আদিত্য মাহাতো, রাজু কর্মকার, সুখদেব গোপরা জানায়, স্কুল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু, রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে শুনে তারা স্কুলে এসেছিল। অন্য দিকে, আড়শার ঝুঁঝকা উচ্চতর বিদ্যালয়ে পুলিশ রবিবারই এসে বলে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ কর্মীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় স্কুল বন্ধ থাকার কথা জানতে পারেনি পড়ুয়ারা। সোমবার যথারীতি তারা স্কুলে আসে। কিন্তু, আটটি ক্লাসরুমে পুলিশ কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করায় ক্লাস হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল খাইয়ে ছুটি দিয়ে দেন। পুরুলিয়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাধারানি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসাবে পুলিশ রাখার জন্য স্কুল ব্যবহার করা যেতেই পারে। কিন্তু, বিষয়টি সম্পর্কে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |