অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে পুকুরে চুবিয়ে খুনের অভিযোগে প্রেমিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। রবিবার হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর উপকূলবর্তী থানার এক নম্বর সামসেরনগরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাহানারা খাতুন (১৮)। হেমনগর উপকূলবর্তী থানার ওসি অমলেশ বালা বলেন, “মৃতের বাবা আবেদ গাজির অভিযোগের ভিত্তিতে রাসেদুল গাজি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” ধৃতকে সোমবার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে তোলা হলে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সাহানারার কাকার ছেলে রাসেদুল। দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাসেদুল সহবাস করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সাহানারা। চার মাস আগে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে রাসেদুল। এরপরই রাসেদুল-সাহানারার সম্পর্ক জানাজানি হলে সালিশি বসে। ঠিক হয় সাহানারাকে বিয়ে করতে হবে রাসেদুলকে। রাজি না হওয়ায় ঠিক হয়, লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাসেদুলকে।
রবিবার ভোরে সাহেনারার বাবা কাজে বেরিয়ে যান। বাড়ি ছিলেন না সাহানারার মা-ও। সকাল আটটা নাগাদ সাহানারার মা বাড়ি ফিরে দেখেন, পুকুরে সাহানারার দেহ ভাসছে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা এসে তার দেহ উদ্ধার করে। পুকুরপাড়ের মাটি ভাঙা দেখে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। তখনই এক গ্রামবাসী দেখেন ধানখেত দিয়ে পালাচ্ছে রাসেদুল। তাড়া করে তাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। মৃতার বাবা আবেদ গাজি বলেন, “সাঁতার জানত মেয়ে। তাই ডোবার প্রশ্ন ওঠে না। ওকে যে জোর করে জলের মধ্যে চেপে ধরে মারা হয়েছে, পুকুরপাড়ের মাটি ভাঙাতেই তা স্পষ্ট। ওর পায়েও মাটি লেগে ছিল।” যদিও রাসেদুলের দাবি, তাকে পরিকল্পনা করে ফাঁসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|