কঠোর নিরাপত্তায় পুনর্নির্বাচন হাবরায়
নির্বিঘ্নে মিটল পুনর্নির্বাচন। শনিবার হাবরায় পুর নির্বাচনে গোলমালের প্রেক্ষিতে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ নম্বর, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৭২ ও ৭৩ নম্বর এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৭ নম্বর বুথে সোমবার ফের ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ দিন ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। শনিবার পুরভোটের দিন বুথগুলি চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দখলে। গুলি চলে, ভোটরদের মারধর করা হয়। পুলিশ যথেষ্ট ছিল না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোটাররা।
পুলিশ পাহারায় ভোট চলছে হাবরার একটি বুথে।—নিজস্ব চিত্র।
সোমবার অবশ্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওই বুথগুলিতে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের পাশের রাস্তায় মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। বুথের বাইরের রাস্তায় এক সঙ্গে তিন জনের বেশি চলাফেরায় নিষেধ ছিল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ঢুকতে পারেননি কোনও রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বুথে দত্তপুকুর থানার আইসি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, অশোকনগর থানার ওসি সুরেন্দ্রকুমার সিংহের নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ৫০ জন নিরাপত্তাকর্মী। শনিবার পুরভোটের দিন গণ্ডগোল শুরু হওয়ায় ভোট দিতে পারেননি বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধ। এ দিন ভোট দিতে পেরে খুশি তিনি। খুশি তৃণমূল প্রার্থী গৌতম বিশ্বাসও। বললেন, “শনিবার এমন নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকলে গণ্ডগোল এড়ানো যেত। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিজলপুকুরিয়ায় ৭২ ও ৭৩ নম্বর বুথে গাইঘাটার সিআই বিশ্বজিত্‌ পাত্র ও বসিরহাটের আইসি প্রসেনজিত্‌ দাসের নেতৃত্বে ছিল ৫০ জন সশস্ত্র পুলিশ। শনিবার সেখানে ছিল মাত্র ৬ জন পুলিশ। এখানেই শ’খানেক সশস্ত্র দুষ্কৃতী বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বুথেও নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে।
আলাপ...
হাবরা পুরসভার চারটি বুথে শান্তিপূর্ণ পুনর্নির্বাচন হল সোমবার।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৫৫ নম্বর বুথের চিত্র। ছবি: শান্তনু হালদার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে চারটি বুথে ভোটের জন্য ১৭৫ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। বেশ কয়েকটি গাড়ি করে পুলিশের টহলের ছবিও চোখে পড়েছে। ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররাও।
আজ, মঙ্গলবার ভোট গণনা। জেতার ব্যাপারে আশাবাদী দু’পক্ষই। সিপিএম নেতা ঋজিনন্দন বিশ্বাস বলেন, “এ দিন বিরোধীরা সন্ত্রাসের পরিকল্পনা করলেও বাস্তবে তা করা যায়নি। ভোট গণনার সময়ে ফের যাতে সন্ত্রাস না হয়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “২২ নম্বর ওয়ার্ডের ইতনা কলোনিতে নির্বাচনের পর থেকে ঘরছাড়া সিপিএম কর্মীরা। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। আমরাই পুরবোর্ড দখল করব। পায়ের তলার মাটি সরছে, বুঝতে পেরে মিথ্যা অভিযোগ করছে সিপিএম।’’

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.