বছর চারেকের এক শিশুকে অপহরণের দায়ে বাড়ির পরিচারককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করে সোমবার দুপুরেই অবশ্য সারিম আখতার আলি নামে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, পুলিশের সন্দেহ বাড়ির ওই পুরনো পরিচারক আব্দুর রহমান শেখ নিছকই অপহরণের ‘অস্ত্র’। অপহরণের পিছনে আসল মাথা পরিবারেরই অন্য কয়েকজন।
এ দিন সন্ধেয় তাই কাকা সাজুদ্দিন আহমেদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলেছে আখতার আলির জ্যেঠামশাই এবং পিসিরও।
আখতারের বাবা ব্যবসায়ীক কারনে মধ্য প্রাচ্যের জেড্ডা প্রবাসী। তাদের আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল। পুলিশের সন্দেহ অপহরণের পরে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণের কারণও আখতারদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। আর, এ ব্যাপারে কাজে লাগানো হয়েছিল বাড়ির পরিচারক আবদুর রহমান শেখকে। |
উদ্ধারের পর। —নিজস্ব চিত্র। |
রবিবার দুপুরে ওই শিশুটিকে নিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়েছিল আব্দুর। তারপরে তার এক আত্মীয়ের এক মোবাইলে ফোন করে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বসে সে। তবে তদন্তে নেমেই পুলিশ বুঝতে পারে, নিছকই কাঁচা কাজ করেছে ওই পরিচারক। ফোন খোলা রাখায় পুলিশের তার মোবাইল ট্র্যাক করতে বিশেষ কোনও বেগই পেতে হয়নি। তা থেকেই সোমবার সকালে সে যে নলহাটি এলাকায় রয়েছে তা বোঝা। আবদুর রহমানকে গ্রেফতারের পরে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ে পারিবারিক বিবাদের গল্পটা। অপহণের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকা থেকে ফুলচাঁদ শেখ নামেও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “ওই পরিচারক শিশুটিকে নিয়ে জলঙ্গি থেকে সমশেরগঞ্জের ভাসাই-পাইকর হয়ে ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে নলহাটিতে একটি হোটেলে এসে ওঠে। ওই হোটেলে বসে ফোন করে তিনটে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে টাকা জমা করার কথা বলে সে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মোবাইল বন্ধ না করায় তাকে ধরতে বিশেষ বেগই পেতে হয়নি।” |