অবশেষে অনুমোদন মিলল জেলাশাসকের। কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত ফাঁকা আসনে সাধারণ ছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজে স্নাতক স্তরে তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত প্রায় ৮০ শতাংশ আসনই ফাঁকা ছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সংরক্ষিত ওই আসনে ভর্তির শেষ দিন ছিল। সময়সীমা বাড়িয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর করা হলেও ছবিটা একই থাকে। সোমবার কলেজ কতৃপক্ষ ফের নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে ওই সংরক্ষিত ফাঁকা আসনগুলোতে সাধারণ ছাত্রীদের ভর্তি করাতে চেয়ে আবেদন করে। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়াতে খুশি কলেজ কতৃপক্ষ।
কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা প্রণতি সিংহ বলেন, “ভর্তির শেষ দিন পর্যন্ত ৭০টি সংরক্ষিত আসনে কেউ ভর্তি হননি। গতবারেও এই একই ঘটনা ঘটেছিল।”
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষে কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত সাধারণ বিভাগে ফাঁকা আসনের সংখ্যা কলা বিভাগে ৪৯ টি, সংস্কৃত অনার্সে ১০টি, অঙ্ক অনার্সে ৭টি ও রসায়নে ৪টি।
প্রণতিদেবী বলেন, “সাধারণ ছাত্রীরা ভর্তি হতে না পারায় গতবার ভর্তির শেষ দিনে তৎকালীন অধ্যক্ষাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশে ওই শূন্য আসনে প্রায় একশো ছাত্রীকে সেবার ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। এবার জেলাশাসকের অনুমোদন পাওয়ায় সংরক্ষিত ওই শূন্য আসনে সাধারণ ছাত্রীদের ভর্তি নিতে পারব।”
কিন্তু এমনটা হচ্ছে কেন? নদিয়ার জেলাশাসক তথা ডিস্ট্রিক্ট রির্জাভেসন কমিশনার পি বি সালিম বলেন, “নদিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় ত্রিশ শতাংশ তফসিলি জাতি ও পাঁচ শতাংশ মানুষ তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভূক্ত। সেখানে জেলা সদরের কলেজে কেন এত আসন ফাঁকা থাকছে এটা আমরা খতিয়ে দেখছি। সংরক্ষিত আসন নিয়ে প্রচারের উপর জোর দেন তিনি। যদিও উইমেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা প্রণতি সিংহ মনে করেন, জেলার তফসিলি জাতি ও জনজাতির ছাত্রীরা ভাল ফল করে অনেকেই ভর্তি হচ্ছে জেলার বাইরের বিভিন্ন নামী কলেজে। |