|
|
|
|
দ্রুত ঋণ ছাড়ের টাকা দিতে নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর
|
স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসূচি প্রকল্পে দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা এ বার উপভোক্তাদের দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে পদক্ষেপ করতে বলল প্রশাসন। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন শিলদাতে প্রশাসনিক সভা করার কথা। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে বকেয়া টাকার চেক উপভোক্তাদের দিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উপভোক্তাদের প্রাপ্য টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
স্বামী বিবেকানন্দ স্বনির্ভর কর্মসূচী প্রকল্পে বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ ছাড়েরও সূযোগ রয়েছে। ঋণের ৩০ শতাংশ ছাড়া পান উপভোক্তা। তবে তার আগে তিনি কী করতে চান, তার জন্য প্রয়োজনীয় নথি রয়েছে কিনা দেখেই ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ নেওয়ার পর সেই কাজ করলেই ছাড়ের টাকা মেলে। বিগত কয়েক বছর মিলিয়ে বহু বেকার যুবক-যুবতী এই প্রকল্পে ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এখনও কয়েকজন ঋণ ছাড়ের অর্থ পাননি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরেই সাড়ে ৮০০ জনের বেশি উপভোক্তার জন্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা এসেছিল। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উপভোক্তাদের দিলেও প্রায় দেড় কোটি টাকা এখনও উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেননি ব্যাঙ্কগুলি। বিগত বছরের ক্ষেত্রেও এমন অনেক উপভোক্তা রয়েছেন যাঁরাও ঋণ ছাড়ের টাকা পাননি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন উপভোক্তার সংখ্যা ৩৮৪ জন। এবার প্রতিটি ব্যাঙ্ককেই সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার নামে চেক তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই তাঁদের টাকা দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা করবেন। কেন টাকা দিতে দেরি করছে ব্যাঙ্কগুলি? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে উপভোক্তারা প্রয়োজনীয় নথি ব্যাঙ্কে জমা দিতে পারেননি। আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কেরও গড়িমসি থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন উপভোক্তারা। ভবিষ্যতেও যাতে উপভোক্তাদের এই ঋণ ছাড়ের টাকা পেতে হয়রান না হতে হয় সে জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে উপযুক্ত পদক্ষেপও করতে বলা হয়েছে। |
|
|
|
|
|