আইপিএল সিক্স গড়াপেটায় এ বার নাম জড়ালো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চার ক্রিকেটারের।
প্রচারমাধ্যমের খবর, গ্রেফতার হওয়া এক বুকি নাকি মুম্বই অপরাধ দমন শাখাকে বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে পুণেতে সানরাইজার্সের চার ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। হায়দরাবাদ আর পুণের একটি ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপারে কথাও হয়। তবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়েছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। বরং হায়দরাবাদের এক ক্রিকেটারের ভাই এই গড়াপেটায় ‘মধ্যস্থতাকারীর’ ভূমিকা নিয়েছিলেন।
|
থিসারার পাশে
শ্রীলঙ্কা বোর্ড। |
অভিযোগে উঠছে থিসারা পেরিরা, হনুমা বিহারি, কর্ণ শর্মা এবং আশিস রেড্ডির বিরুদ্ধে। তবে থিসারার নাম ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শ্রীলঙ্কা বোর্ড বিবৃতি দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যপারে ভারতের তরফে তাদের কিছু জানানো হয়নি দাবি করার পাশাপাশি “আমাদের সব ক্রিকেটারের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে” বলেও জানায় তারা।
এই বুকি চন্দ্রেশ পটেল, পেশায় আন্ধেরির শেয়ার ব্রোকার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরও চার ব্যক্তির। যাঁদের মধ্যে আমির বলে একজন চন্দ্রেশকে জানান, ছ’ কোটি টাকা লাগবে ম্যাচ গড়াপেটা করতে। পটেল পুলিশকে আরও বলেন, “আমির বলেছিল ১৬ এপ্রিল পুনেতে প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করবে। সঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অগ্রিমও চেয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে আমরা পুণে যাই। আমিরের বন্ধু সুনীল আমাদের এক পাঁচ তারা হোটেলে আলাপ করায় সানরাইজার্সের প্লেয়ার থিসারা, বিহারি, কর্ণ আর আশিস রেড্ডির। সঙ্গে ছিল আশিসের ভাই প্রীতম রেড্ডিও।”
পটেল চাইছিলেন ১৭ এপ্রিল পুণেতে সানরাইজার্স বনাম পুণে ওয়ারিয়র্সের ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারতে হবে। এটাই তাঁদের বাজি ছিল। পটেল বলেন, “আমি চেয়েছিলাম স্কোর ১০ ওভারে ৬০ রানের বেশি যেন না যায়। আর ২০ ওভারে মোট স্কোর যেন ১৪০ রানের বেশি না হয়।”
পটেলকে পরের দিনই আমির জানিয়ে দেন, সব চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ম্যাচে হায়দরাবাদ জিতে যায়। ফলে বুকিদের পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। পটেল বলেন, “আমি আর অন্যরা টাকা লাগিয়েও বাজিটা হেরে যাই সানরাইজার্স জেতায়। আমির পরে আমার কাছে অর্থ দাবি করে। কিন্তু আমি তা দিতে অস্বীকার করি। তার জন্য কিন্তু আমাকে হুমকিও দিয়েছিল আমির।” |