|
|
|
|
সনিয়ার গলা নকল করে ফোন এজি-কে |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
ফোনটা পেয়ে চমকে উঠেছিলেন অ্যাটর্নি-জেনারেল জি ই বাহানবতী। “আমি সনিয়া গাঁধী বলছি। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মামলায় আপনার কাজে আমি খুশি নই।” সেপ্টেম্বর মাসের গোড়া থেকে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ফোন পান অ্যাটর্নি-জেনারেল। পরে জানতে পারেন, সনিয়া আদৌ ফোন করেননি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজধানীর রাজনৈতিক শিবিরে।
সরকারি সূত্রে খবর, অবিকল সনিয়ার গলা নকল করে বাহানবতীকে কয়েক বার ফোন করেন এক মহিলা। তিনি দাবি করেন, কয়লা কেলেঙ্কারি-সহ বেশ কয়েকটি মামলায় বাহানবতীর কাজে তিনি খুশি নন। বাহানবতীর উচিত নিজের ঘাড়ে দায়িত্বের বোঝা কমানো। প্রয়োজনে ইস্তফা দেওয়া। সেপ্টেম্বর মাসের গোড়ায় নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন সনিয়া। ওই মহিলাও দাবি করেন, তিনি নিউ ইয়র্ক থেকেই ফোন করছেন।
পরে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে বাহানবতী বুঝতে পারেন, সনিয়া ফোন করেননি। তাঁর গলা নকল করে অন্য কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে খবর দেওয়া হয়। তারা সিবিআইকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। তদন্তকারীরা মহিলার পরিচয় জানতে পারেন। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই মহিলা এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মী। তিনি সনিয়ার গলা খুব ভাল নকল করতে পারেন। এই ঘটনার পিছনে অন্য এক সরকারি কৌঁসুলি ও কংগ্রেসের এক নেতার মদত আছে। সিবিআই অফিসারদের দাবি, বিষয়টি আইন মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ফল।
বিষয়টি দিল্লি পুলিশের এক্তিয়ার ভুক্ত। তাই তাদের কাছে অভিযোগ করেন বাহানবতী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জানিয়েছেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। মুখ খুলতে চাননি বাহানবতী ও আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বল।
বাহানবতীকে ফোন করে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে নানা শিবিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা ও আইনজীবী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানিয়েছেন, কী ভাবে এই ঘটনা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। তবে অ্যাটর্নি-জেনারেল দুর্নীতির মামলা নিয়ে কত জন নেতার সঙ্গে কথা বলেন তা বিজেপি জানতে চায়। টুজি মামলায় সাক্ষ্য দিতে হয়েছিল বাহানবতীকে। রবিশঙ্করের কটাক্ষ, “অ্যাটর্নি-জেনারেল সারা দেশের কৌঁসুলিদের প্রধান। এই প্রথম কোনও অ্যাটর্নি-জেনারেলকে দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে হয়েছে।” |
|
|
|
|
|