নিজস্ব সংবাদদাতা • সিউড়ি |
সতীশ সিংহ, শুক্লা চক্রবর্তী, অশিস কাহারদের মতো প্রায় দেড়শো পরিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সিউড়ি ১ ব্লকের জীবধরপুর প্রাথমিক স্কুলে। বেলা ১১টার আগে সেখানে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, আধারকার্ডের জন্য কোনও নাম-পরিচয়ই তোলা হচ্ছে না। তাঁদের বলা হয়, নাম তোলা হবে অবদারপুর প্রাথমিক স্কুলে। দুপুর ১২টা থেকে সেখানে প্রায় ১৫০ পরিবার লাইন দেন। অথচ নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ১১টা। কিন্তু কেন এই জটিলতা? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সুবোধ গড়াই নামে এক কর্মী নাম তোলার জন্য ১৭৭টি পরিবারকে স্লিপ দিয়ে এসেছিলেন। সোমবার তিনি বলেন, “আমি ব্লকের নির্দেশ অনুযায়ী স্লিপ দিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু সিউড়ি ১ ব্লকে আধারকার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার মৃণাল গঙ্গোপাধ্যায় বুথ বদলে দিয়েছেন।” মৃণালবাবুর দাবি, “প্রশাসনের কথা মতো আমি ওই কাজ করেছি।” এ দিকে, সোমবার বেলা ১১টায় যাবতীয় নথিপত্র নিবন্ধীকরণের কথা থাকলেও দুপুর ১২টা থেকে কাজ শুরু হয়। ফলে অনেকেই বিরক্ত হয়ে বাড়ি চলে যান। যাঁরা তখনও লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের প্রশ্ন, আমাদের এ ভাবে হয়রানি করানোর মানে কি? ওঁরা সবাই মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের সাজানোপল্লির বাসিন্দা. আবদারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। আর সেখানে জীবধরপুর প্রাথমিক স্কুলের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। সিউড়ি ১ ব্লকের বিডিও মুনমুন ঘোষ বলেন, “কোথায় কেন্দ্র করলে সুবিধা হবে, তা মূলত ঠিক করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান এবং ওই কাজে নিযুক্ত সংস্থা।”
আদালতে তোলার নির্দেশ। বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার এবং দুই সহযোগীদের আগামী ৭ অক্টোবর বোলপুরের এসিজেএম আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “সোমবার সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনোজকুমার নাগেলকে বোলপুরের এসিজেএম আদালতে হাজির করানোর কথা ছিল। অভিযুক্তরা আদালতে এ দিন উপস্থিত হতে পারেনি। প্রয়োজনীয় কারণ দেখিয়ে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এসিজেএম পীযূষ ঘোষ আগামি ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযুক্তদের ফের হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে। |