|
|
|
|
অনিয়মিত শিক্ষক, মিড-ডে মিলের
হিসেব চেয়ে বিক্ষোভ কাটোয়ার স্কুলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
মিড ডে মিলের হিসেব দিতে অস্বীকার করা, শিক্ষিকাদের অনিয়মিত যাতায়াত-সহ একাধিক অভিযোগে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভের জেরে স্কুল গেটেই আটকে পড়েন শিক্ষক ও ছা্ত্রছাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ের প্রায় সওয়া এক ঘণ্টা পরে চালু হয় স্কুল। সোমবার বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ কাটোয়ার নওদাপাড়া উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। |
|
চলছে বিক্ষোভ, দাঁড়িয়ে পড়ুয়ারা।—নিজস্ব চিত্র। |
বিক্ষোভে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষিকা, ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা সঞ্চিতা সাঁতরা ও ত্রিবেণীর কল্যাণী মণ্ডল স্কুলে অনিয়মিত যাতায়াত করেন। প্রধান শিক্ষিকা ও স্কুল শিক্ষা কমিটির কথা শোনেন না। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, গত শনিবার ওই দুই শিক্ষিকা সকাল ১০টায় স্কুলে এসে পড়ুয়াদের ডেকে নেন। তারপরে ১১টা ১৫ পর্যন্ত ক্লাস নিয়ে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরে যান। অভিযোগ স্বীকার করেছেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শুভাশিস রায়। ওই দিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিনি জানান, ওই দুই শিক্ষিকা তাঁর নিষেধ সত্ত্বেও ওই কাণ্ড করেছেন। তবে অন্য শিক্ষিকারা নিয়মমতোই ক্লাস নেন। ওই দুই শিক্ষিকা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, ওই দিন ডবল লাইনের জন্য কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখায় কাজ চলছিল। কাটোয়া থেকে ১১টার পরে আবার ৪টেয় ট্রেন ছিল। শনিবার পৌনে দু’টোয় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে দু’ঘণ্টা বসে থাকতে হবে ভেবে তাড়াতাড়ি এসে ক্লাস নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ দিনের বিক্ষোভে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, “স্কুলে ১১১ জন পড়ুয়া। অথচ, অর্ধেক দিন রান্না হয় না। তাই আমরা মিড-ডে মিলের সম্পূর্ণ হিসেব চেয়েছিলাম। কিন্তু শুভাশিসবাবু সাফ বলেন, হিসেব জানার অধিকার আমাদের নেই।” স্কুলের নতুন ঘর তৈরি নিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেব দিতে পারছেন না বলে তাঁদের অভিযোগ। কাটোয়া ২ ব্লকের জগদানন্দপুরের সহকারী স্কুল পরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তবে শুভাশিসবাবু অভিযোগ উড়িয়ে দেন। |
|
|
|
|
|