|
|
|
|
ময়নাতদন্তে ইঙ্গিত মিলল আত্মহত্যার
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
ঝান্ডাবাগে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছেলে আত্মহত্যাই করেছেন বলে সন্দেহ দৃঢ় হচ্ছে পুলিশের। যদিও তার কারণ সম্পর্কে এখনও তারা অন্ধকারে।
আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যারই ইঙ্গিত মিলেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে তখনই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রবিবার দুর্গাপুরের ঝান্ডাবাগে রবীন্দ্রপল্লির বাড়ি থেকে ডিএসপি-র প্রাক্তন কর্মী নেপাল চক্রবর্তী (৭৫), তাঁর স্ত্রী গীতা (৬৮) ও সেজো ছেলে সুকান্তর (৪৬) দেহ মেলে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল, মানসিক অবসাদে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন। তবে দেহগুলি যে ভাবে পাওয়া যায় তাতে পুলিশের ধারণা হয়েছিল, নেপালবাবু স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করে শেষে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। দুর্গাপুরে ফরেন্সিক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় দেহগুলি আসানসোলে পাঠানো হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রের খবর, স্ত্রী ও ছেলে সুকান্তকে নিয়ে নেপালবাবু বাড়ির এক তলায় থাকতেন। দোতলায় ছোট ছেলে সুশান্তবাবু তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন। নেপালবাবুর আরও দুই ছেলে থাকেন এমএএমসি ও ফুলঝোড় এলাকায়। পুলিশ পরিবারের সবাইকে জেরা করেছে। পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, “ময়না-তদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।” |
|
|
|
|
|