মোর্চার ভাবনায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও
ন্ধ ডাকতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা। রাজ্য সরকারের অনড় মনোভাব। লাগাতার বন্ধ নিয়ে পাহাড়বাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। এই ত্রিমুখী চাপের মুখে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন নিয়ে বিকল্প চিন্তাও ঠাঁই পাচ্ছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্দরে। রাজধানীতে একটি আলোচনা সভায় মোর্চার প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী জানিয়েছেন, পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবিও তোলা হতে পারে। তবে হরকাবাহাদুরের বক্তব্য, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মত।
আজ দিল্লিতে ‘গোর্খাল্যান্ডের দাবি এবং ভারতীয় গোর্খাদের পরিচয়সত্তা’ নিয়ে ওই আলোচনায় হরকাবাহাদুর বলেন, “জিটিএ অন্তর্বর্তী একটা ব্যবস্থা ছিল। তেলেঙ্গানা গড়ার ব্যাপারে কেন্দ্র নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমাদের গোর্খাল্যান্ডের দাবিও আরও জোরদার হয়েছে। তাই বন্ধ ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি আদায় করা হয়েছে। কবে সেই বৈঠক হবে, বৈঠকে কী হবে, আমাদের পরবর্তী রণকৌশল তার উপরে নির্ভর করবে।” এর পরেই তাঁর দাবি, “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হাতের বাইরে যে কোনও ব্যবস্থাই একমাত্র পাকাপাকি সমাধান হতে পারে। তা সে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক বা অন্য কোনও নাম হোক।”
তা হলে কি মোর্চা এখন থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি ছেড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলবে? হরকাবাহাদুরের বক্তব্য, “বিকল্প ভাবনার জন্য এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে আলোচনায় সভায় তুলে ধরেছি। কিন্তু দলের অবস্থান এখনও তা নয়। আমি দলের অবস্থানই মেনে চলব।” সেই সঙ্গে মোর্চা নেতারা রাজ্য সরকারের সঙ্গেও আলোচনার রাস্তা খুলতে চাইছেন। হরকাবাহাদুর বলেন, “রাজ্য সরকারের এমন কিছু পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে সামনের দিকে এগোনোর রাস্তা খুলতে পারে।”
যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব মনে করেন, জিটিএ ব্যর্থ হয়েছে, এটা বলার মতো সময় আসেনি। শিলিগুড়িতে আজ তিনি বলেন, “জিটিএ অন্তত ৫ বছর চালানোর পরে তা ব্যর্থ না সফল সেই প্রশ্ন তোলা যায়। জিটিএ-এ কে যা স্বশাসন দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে পাহাড়ের চেহারা বদলে দেওয়া যাবে। কিন্তু তা না করে ৩-৪ মাস পরপর পাহাড় অচল করলে পাহাড়বাসীরা বিরূপ হবেনই।”
এদিনের আলোচনায় দার্জিলিংকে অবহেলা করার জন্য বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের শাসনকে দায়ী করেছেন সাংসদ যশোবন্ত সিংহ। সভায় ছিলেন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আমন্ত্রণ থাকা সত্বেও এআইসিসি-র মিডিয়া সেলের চেয়ারম্যান অজয় মাকেন অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজকুমার সিংহর আমলেই কেন্দ্র, রাজ্য ও মোর্চার মধ্যে জিটিএ-চুক্তি সই হয়েছিল। সভায় তাঁর প্রশ্ন, “কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেই কি সমস্যার পাকাপাকি সমাধান হবে?”
বর্তমান পরিস্থিতিতে মোর্চা নেতারা জিটিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসছেন না কেন? আলোচনাসভায় এই প্রশ্ন উঠতে হরকাবাহাদুরের জবাব, “জিটিএ-র সদস্যদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। তা হলে জিটিএ-তে না থাকলে আরও সমস্যায় পড়তে হবে।”

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.