দুই মহারথীর দ্বৈরথ। সচিন তেন্ডুলকর আর রাহুল দ্রাবিড়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির পর জিভে জল আনা এমন লড়াই আর দেখা যাবে না। তাই সচিন-দ্রাবিড় লড়াই ছিল ম্যাচের ইউএসপি। তাতে বাজিমাত করল সেই দ্রাবিড়ের দুরন্ত পরিকল্পনাই। আইপিএল সিক্স থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্রাবিড়ীয় সভ্যতাকে যা পৌঁছে দিয়েছে।
একে সবুজ উইকেট, তার উপর আবার বৃষ্টি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর আগেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল সিক্সে ঘরের মাঠের সুপারহিট ফর্মুলায় এই ম্যাচেও কোনও পরিবর্তন করেনি রাজস্থান। পেস সহায়ক উইকেটে চাপে ফেলে দাও বিপক্ষকে। এটাই ছিল রাহুল দ্রাবিড়দের পরিকল্পনা। যা শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে জয় এনে দিল রাজস্থানকে। |
৩৮ রানের মধ্যেই ডোয়েন স্মিথ, দীনেশ কার্তিক আর সচিন তেন্ডুলকর ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। আইপিএল সিক্সের শেষ দিকে চোট লাগায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি সচিন। এ দিন দলে ফিরলেও সচিন ব্যর্থ। স্মিথের (৯) পর সচিনও (১৫) ফিরে যান আট ওভারের মধ্যেই। মুম্বই হরভজন সিংহ আর প্রজ্ঞান ওঝার মতো দু’জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলালেও রাজস্থান কিন্তু সে পথে হাঁটেনি। জেমস ফকনার, শেন ওয়াটসন, স্টুয়ার্ট বিনিরা অধিনায়কের সিদ্ধান্তকেই সঠিক প্রমান করে দেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১৪২ রানে থামিয়ে দিয়ে। সবচেয়ে সফল বিক্রমজিৎ মলিক (৩-২৪)। মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মাই যা লড়লেন। তাঁর ৩৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের পাশাপাশি কায়রন পোলার্ডের ৩৬ বলে ৪২ রানের সঙ্গত না থাকলে আইপিএল সিক্স চ্যাম্পিয়নদের রান একশোও টপকাতে পারত কি না সন্দেহ! লাসিথ মালিঙ্গা না থাকায় রান তাড়া করতে নামা রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের উল্টো চাপে ফেলার পরিকল্পনাও ধাক্কা খায় রোহিতদের। তাও দ্রাবিড়কে (১) দ্বিতীয় ওভারেই ফিরিয়ে মালিঙ্গার জায়গায় টিমে আসা নাথান কোল্টার নাইন কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অজিঙ্ক রাহানে (৩৩) আর সঞ্জু স্যামসনের (৫৪) দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ মুম্বইয়ের সব প্রচেষ্টায় জল ঢেলে দেয়। টিমের ১০৭ রানের মধ্যে রাহানে আর স্যামসন ফিরে গেলে রাজস্থানকে জয়ের পথে নিয়ে যায় ওয়াটসন (২৭ ন.আ.)-বিনি (২৭ ন.আ.) জুটি।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মুম্বই ১৪২-৭ (রোহিত ৪৪, বিক্রমজিৎ ৩-২৪)
রাজস্থান ১৪৮-৩ (স্যামসন ৫৪, রাহানে ৩৩)। |