মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস, না সচিন তেন্ডুলকর বনাম রাহুল দ্রাবিড়শনিবার জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে ম্যাচটা শুরু না হওয়া পর্যন্ত এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাবে। তবে নির্জীব চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে জীবনদায়ী ‘ইঞ্জেকশন’ হিসেবে যে এই ‘ট্যাগলাইন’-টাই বেশি জরুরি, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
দুজনেরই সম্ভবত এটা শেষ সীমিত ওভারের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। আর তাই শেষ বারের মতো দু’জনের দ্বৈরথ দেখতে আসবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দ্রাবিড় যদিও ব্যাপারটা উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেছেন, “এমন তো আগেও হয়েছে। সচিনের সঙ্গেও খেলেছি, বিরুদ্ধেও খেলেছি। আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ ঠিকই। তবে খেলাটা আসলে দুটো দলের মধ্যে। আমি চাই, সেমিফাইনালেও আমাদের ফের দেখা হোক।” কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, আয়োজকরাই বলে দিচ্ছেন যে সচিন-রাহুল যুদ্ধই ম্যাচের ইউএসপি। তার উপর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৪ অক্টোবর এখানে সেমিফাইনালে না খেললে এটাই হতে চলেছে মরুশহরে সচিনের শেষ ম্যাচ। সুতরাং, জয়পুরের কাছে এটা স্মরণীয় ম্যাচ। |
যুদ্ধের প্রস্তুতি দ্রাবিড়ের। |
সচিন কিন্তু ফুরফুরে।
|
|
এক দিকে যখন দুই মহাতারকার শেষ ম্যাচের অপেক্ষা, অন্য দিকে তখন আর এক তরুণ তারকার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ শুরুর আসর। তিনি রোহিত শর্মা। ভারতের হয়ে একশোর উপর ওয়ান ডে খেলা হয়ে গেলেও টেস্ট দলে ডাক পাননি এখনও। জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হঠাৎ ইনিংস ওপেন করার সুযোগ পাওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। কিন্তু এ বছর আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ তাঁর কাছে অনেকটা পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতোই। তাই চলতি বছরটাকেই জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ধরছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন তারকা। রোহিতের বক্তব্য, “ওয়ান ডে-তে ওপেন করে খেলায় ধারাবাহিকতা আনতে পেরেছি। তবে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেনসি আমার কাছে বছরের সেরা প্রাপ্তি।”
শনিবার তাঁর নেতৃত্বে মুম্বই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে রোহিতের ভাবনায় তাঁর নতুন দায়িত্বই গুরুত্বপূর্ণ। বললেন, “রঞ্জিতে কিছু ম্যাচে নেতৃত্ব দিলেও আর কখনও কোথাও ক্যাপ্টেন হইনি। আইপিএলের মতো উত্তেজনায় ঠাসা টুর্নামেন্টে মুম্বইয়ের মতো হাই প্রোফাইল দলের ক্যাপ্টেন হওয়াটা বেশ চাপের। এই পরিস্থিতিতে যে উতরে গিয়েছি, এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার।” |