তাঁর দুশোতম টেস্ট যত এগিয়ে আসছে, তত বাড়ছে জল্পনা। সচিন তেন্ডুলকর কোথায় তাঁর দুশো টেস্ট খেলবেন, এটা যদি এক নম্বর প্রশ্ন হয়ে থাকে, তবে এ দিনের পর দু’নম্বর প্রশ্নটাও একটা সময় খুব বেশি করে উঠে পড়েছিল-- ২০০-তেই কি টেস্ট জীবনে দাঁড়ি টেনে দেবেন মাস্টার ব্লাস্টার?
বুধবার এমন খবরও ছড়িয়ে পড়ে যে নির্বাচক প্রধান সন্দীপ পাটিল নাকি নিজে সচিনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন। পাটিল নাকি সচিনকে এও বলেছেন, দুশো টেস্ট পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু তার পরে দলে থাকতে হলে রান করে থাকতে হবে। |
এর কিছু পরেই অবশ্য ভারতীয় বোর্ড এবং পাটিলের তরফে পুরো ঘটনা অস্বীকার করে বিবৃতি দেওয়া হয়। পাটিল বলেছেন, “সচিনের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সব সময় আনন্দের। কিন্তু ঘটনা হল, গত দশ মাসে আমার সঙ্গে ওর দেখা হয়নি। এমনকী আমিও ওকে ফোন করিনি, সচিনও আমাকে ফোন করেনি। আমরা কোনও কিছু নিয়েই আলোচনা করিনি। পুরো ব্যাপারটাই ফালতু।” ভারতীয় বোর্ডের তরফে রাজীব শুক্ল বলেছেন, “এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। আমরা সচিন এবং পাটিল দু’জনের সঙ্গেই কথা বলেছি। এ ধরনের কোনও আলোচনাই ওদের মধ্যে হয়নি। প্লেয়াররাই তাদের কেরিয়ার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। বোর্ড সব সময় এই নীতি মেনে এসেছে।”
বিতর্কের সূত্রপাত, প্রচারমাধ্যমে একটি রিপোর্ট বেরোনোর পর থেকে। যেখানে নাম না করে এক নির্বাচক নাকি বলেছিলেন, “আমাদের হাতে এখন অনেক তরুণ ক্রিকেটার আছে। যারা ভাল খেলছে। সচিন তেন্ডুলকরের ক্ষমতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। কিন্তু আমাদেরও তো ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে হবে। অনেক প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার একটা সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছে।”
সব মিলিয়ে সচিনের অবসর নিয়ে জল্পনা বেশি দূর ছড়িয়ে পড়ার আগেই অবশ্য বোর্ড এবং পাটিল মিলে তাতে জল ঢেলে দিলেন। সচিন নিজে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
|