উসমানিকে ধরতে বাড়ি বাড়ি খোঁজ তদন্তকারীদের
দুর্ঘটনা না গাফিলতি, ঠিক কী কারণে হাতছাড়া হল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আফজল উসমানি! ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
শুক্রবার ভরদুপুরে ভিড়ে ঠাসা আদালত চত্বর থেকে হঠাৎই ‘উধাও’ হয়ে যায় ২০০৮ সালের আমদাবাদ বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম এই অভিযুক্ত। এর পরই শুরু হয়ে যায় চিরুনি তল্লাশি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল এই মুহূর্তে তল্লাশি চালাচ্ছে শহর জুড়ে। অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে শহর থেকে বেরোনোর প্রতিটি রাস্তার মোড়ে। আদালত চত্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কুকুরবাহিনী। তল্লাশি চালানো হচ্ছে শহরের ছোট বড় সব হোটেলেই। বাস-ট্যাক্সি স্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনগুলিতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে উসমানির ছবি। এমনকী কুখ্যাত ওই জঙ্গির ছবি হাতে সাধারণের বাড়ি বাড়িও পৌঁছে যাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অনুরোধ জানানো হচ্ছে, উসমানির বিষয়ে কোনও রকম খবর পেলেই পুলিশকে যেন তা জানান তাঁরা।
প্রচেষ্টায় খামতি না থাকলেও ফলপ্রসূ হচ্ছে না কোনও উদ্যোগই। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত আফজল উসমানির কোনও খোঁজ পায়নি মুম্বই পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর দেড়টা। তালোজা সেন্ট্রাল জেল থেকে আরও ২২ অভিযুক্তের সঙ্গে মহারাষ্ট্র সংগঠিত অপরাধ দমন আদালত (মকোকা)-এ নিয়ে আসা হয় উসমানিকে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় চার্জ গঠনের কথা ছিল। দুপুরে খাওয়ার সময় আদালতের কাজ যখন কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল তখনই শৌচালয় যাওয়ার নাম করে দশ-দশ জন নিরাপত্তারক্ষীর চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয় উসমানি। বেলা পৌনে তিনটে নাগাদ শুনানির সময় সবাই যখন ফের হাজির হয় আদালত কক্ষে তখনই নজরে আসে বিষয়টি। নিরাপত্তাকর্মীদের এ হেন গাফিলতির তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।
যার জেরে শনিবার ওই দশ নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে খুব শিগগিরই শাস্তিও পাবেন তাঁরা।
তবে নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ পুরোটাই দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীদের উপর বর্তাতে রাজি নন আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, মকোকা-র মত গুরুত্বপূর্ণ দায়রা আদালতে সিসিটিভির কোনও ব্যবস্থাই রাখেনি প্রশাসন। অথচ এই আদালতে প্রায়শই বিচার হয় দাগি অপরাধীদের। আইনজীবীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে ‘টিফিন টাইম’-এ উসমানি-সহ অন্য বন্দিদের যখন আদালত কক্ষের বাইরে নিয়ে আসা হয় তখন তাদের ছেঁকে ধরেন আত্মীয় পরিজন। কেউ টিফিন বক্স হাতে তো কেউ পুজোর ফুল নিয়ে ঘিরে ধরেছিলেন বন্দিদের। কেউ আবার হাত বাড়িয়ে পরিজনের ছবি তুলে দিতে চাইছিলেন বন্দিদের হাতে। উসমানি ও অন্য বন্দিরা পরিজনের ভিড়ে এমন ভাবে মিশে গিয়েছিল যে পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হকচকিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। ফাঁক বুঝে পালিয়ে যায় উসমানি।
২০০৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বিচারের প্রয়োজনে বার বার উসমানিকে পাঠানো হয়েছে এ রাজ্য থেকে ও রাজ্যে। সূত্রের খবর, আদালত চত্বরে উসমানি-সহ অন্য বন্দিরা
রীতিমতো হালকা চালেই চলা ফেরা করার সুযোগ পেত। হয়তো সে কারণেই শুক্রবার দুপুরে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.