ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলে ভাঙচুরের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া (সিএনআই)-এর কলকাতা ডায়াসেসের সাম্মানিক সচিব আবির অধিকারীর হাতে ১০ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মকুল রায়ের সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ দিন মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আবিরবাবু। সঙ্গে ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্রিশ্চিয়ান স্কুলস-এর সম্পাদক মলয় ডি’কস্টা-সহ চার জন। পরে আবিরবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে আমরা খুশি। গোটা ঘটনায় উনি ক্ষুব্ধ। ভাঙচুরের ঘটনায় কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মিশনারি স্কুলগুলিতে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন।” |
ক্রাইস্ট চার্চ স্কুল কমিটির হাতে চেক তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার মহাকরণে। ছবি: রণজিৎ নন্দী। |
তবে স্কুল খোলার বিষয়ে তিনি জানান, পরিচালন সমিতি সব নজরে রেখেছে। ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি হলেই স্কুল খোলা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ দিন বাগুইআটির অর্জুনপুরের বাসিন্দা ঝর্না পাত্র নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর মেয়ে ওই স্কুলের ছাত্রী।
শুক্রবারের মতো এ দিনও দমদম থানার অফিসাররা ওই স্কুলে যান এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কী কী জিনিস ভাঙচুর হয়েছে, তার তালিকা তৈরি করেন। এ দিন সেই তালিকা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এক কর্তা জানান, অফিস ঘরের ছ’টি কম্পিউটার, হল ঘরের সব দরজা, দু’টি অ্যাকোয়াগার্ড, দু’টি টেলিফোন, দু’টি প্রিন্টার, পাঁচটি নোটিস বোর্ড, একটি বায়োমেট্রিক যন্ত্র-সহ আরও বহু জিনিস ভাঙচুর করা হয়েছে। টেলিফোনের সমস্ত তারও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। স্কুলের কম্পিউটার সার্ভার ও প্রচুর নথি নষ্ট হয়েছে হামলাকারীদের তাণ্ডবে। |