কোনও জোর-জবরদস্তি নয়। ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের জট ছাড়াতে অনিচ্ছুক জমি-মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পথেই হাঁটতে চায় রাজ্য। শুক্রবার পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে এসে সরকারের এই মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। দরকারে ফের তিনি আসবেন বলেও জানিয়েছেন।
রঘুনাথপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে এ দিন রঘুনাথপুর উন্নয়ন পর্ষদের ‘ল্যান্ড ইউজ’ ম্যাপের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন ফিরহাদ। পরে ডিভিসি-র আধিকারিকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেন। রঘুনাথপুরের ডিভিসি-র এই প্রকল্পের মুখ্য বাস্তুকার দেবাশিস মিত্র বলেন, “আমরা ওয়াটার করিডর-সহ অন্য থমকে থাকা কাজ দ্রুত শুরু করতে চাই। মন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।” বস্তুত, ‘ওয়াটার করিডর’-এর (প্রকল্পে জল আনার পাইপলাইন বসানো) কাজ বন্ধ থাকায় একটি ইউনিট উৎপাদন শুরুতে সক্ষম হলেও সেটিকে কাজে লাগাতে পারছেন না ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। তাঁরা প্রশাসনের ‘সক্রিয়’ হস্তক্ষেপ (পুলিশ মোতায়েন করে কাজ) চাইছেন। যদিও পুলিশ পাঠিয়ে কাজ করানোর তাঁরা বিরোধী বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রী পরে বলেন, “ডিভিসি-র প্রকল্পে কিছু লোক বিরোধিতা করলেও এই অঞ্চলের বড় অংশের বাসিন্দা কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের স্বার্থে ওই প্রকল্পের পক্ষেই আছেন। সকলকে নিয়ে আলোচনা করব। বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গেও কথা বলব। এই সমস্যা দ্রুত মেটাতে চাই। প্রয়োজনে আবার আসব।” ইতিমধ্যেই রঘুনাথপুরের তৃণমূল বিধায়ক পূর্নচন্দ্র বাউরি ‘ওয়াটর করিডর’ তৈরিতে বাধাদানকারী অনিচ্ছুক জমিমালিকদের একাংশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। অন্য দিকে, অনিচ্ছুক জমিদাতাদের বড় অংশ যেখানে থাকেন, সেই রায়বাঁধ এলাকায় এ দিন থেকেই চেক বিলি শুরু করেছে প্রশাসন। দশ জন চেক নিয়েছেন। আরও পাঁচ জন চেক নিতে এলেও নথি সংক্রান্ত সমস্যায় চেক পাননি।
|