মহিলা প্রধানকে নিগ্রহ, অভিযুক্ত দলেরই একাংশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
বিডিও-র ডাকা একটি বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া তৃণমূলের দুই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান ও এক উপ-প্রধানকে ব্লক অফিস চত্বরে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লক অফিস চত্বরে শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের ব্লক সভাপতি গুরুপদ মেটের অনুগামী, মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিতা রানা বাসরি এবং আকুই-১ পঞ্চায়েতের প্রধান ইতু রায় ও উপপ্রধান সুফলচন্দ্র মণ্ডলকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি রবিউল হোসেনের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুরুপদবাবু জানান, এ দিন ইন্দাস পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল। তারই পাশাপাশি বছরে ১০০ দিন কাজের একটি প্রকল্পের বৈঠক ডেকেছিলেন বিডিও। সেই বৈঠক যোগ দিতে ব্লকের সব গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানরা এ দিন ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন। গুরুপদবাবুর অভিযোগ, “ব্লক অফিস চত্বরে রবিউল-গোষ্ঠীর লোকেরা সকাল থেকেই জড়ো হয়েছিল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পরে ব্লক অফিস চত্বরেই সুমিতা রানা বাসরি ও ইতু রায়কে গালিগালাজ করে রবিউলের সমর্থকেরা। সুফলচন্দ্রকে মারধরও করেছে ওরা। গালিগালাজ করতে করতে ওই তিন জনকে কার্যত ব্লক অফিস চত্বর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।” বিডিও-র কাছে তিনি অভিযোগ করেন। রবিউল হোসেন অবশ্য পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের সদস্য মালবিকা সরকারকে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরেই চরম অপমান করেছিলেন প্রধান সুমিতাদেবীর স্বামী। এ দিন ব্লক অফিস চত্বরে প্রধানকে পেয়ে ওই এলাকার দলের কর্মীরা ঘিরে ধরে ওই ঘটনার জবাবদিহি চান। কাউকে মারধর বা গালিগালাজের ঘটনাই ঘটেনি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করতে সিপিএম নেতাদের শেখানো বুলিই আওড়াচ্ছেন আমাদের দলের বিধায়ক।” ইন্দাসের বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ব্লক অফিস চত্বরের মধ্যে আকুই ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে মারধর করা হয়েছে বলে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”
|
ছাত্রীকে আটকে রাখার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
চায়ের দোকানে নেশা করতে নিষেধ করায় দোকান মালিকের মেয়েকে স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা জানতে পেরে দোকান মালিক পুলিশের দারস্থ হন। কিন্তু, থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে মহকুমাশাসকের কাছে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন চায়ের দোকানের মালিক। ঘটনাটি বাঁকুড়া সদর থানা এলাকার। অভিযোগকারী কেশিয়াকোলের বাসিন্দা। বাঁকুড়া সদর মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই চায়ের দোকানের মালিক জানান, কয়েক দিন আগে রামপুরের বাসিন্দা এক যুবক কিছু সঙ্গী-সহ তাঁর দোকানে নেশা করার জন্য গেলে তিনি প্রতিবাদ করেন। টোটন তাঁকে হুমকি দেয়। ওই চা-দোকানির মেয়ে বাঁকুড়া গার্লস স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। শুক্রবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর তাকে ওই যুবক কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে ও খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মৌখিক ভাবে আমার কাছে নালিশ করেছেন ওই ভদ্রলোক। সেটা সত্যি কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত ওঁর অভিযোগটি বাঁকুড়া থানায় পাঠানো হয়েছে।” এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “বাঁকুড়া থানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। তবে, মহকুমাশাসকের কাছ থেকে থানায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগটি এসেছে বলে আইসি জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে চাননি।
|
নিখোঁজের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র |
মেলা দেখতে বেরিয়ে বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বড়জোড়ার ভৈরবপুর গ্রামের তুফান চট্টোপাধ্যায় (১৯)। শুক্রবার সকালে পাত্রসায়েরের নলডাঙা গ্রামের কাছে ডিভিসি-র সেচখাল থেকে উদ্ধার হল তুফানের মৃতদেহ। এ দিনই বিষ্ণুপুর হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘বড়জোড়ায় মেলা দেখতে যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পর দিন ভৈরবপুর গ্রাম লাগোয়া ডিভিসি-র সেচখালের পাড়ে তাঁর সাইকেলটি পাওয়া যায়। কিন্তু, ওই যুবকের হদিস মেলেনি। শুক্রবার সকালে নলডাঙা গ্রামের কাছে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পরে ভৈরবপুর গ্রামের সুকুমার চট্টোপাধ্যায় পাত্রসায়র থানায় গিয়ে দেহটি তাঁর খুড়তুতো ভাই তুফানের বলে শনাক্ত করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান জলে ডুবে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।
|
এক দিনের ডাবলস ক্যারম প্রতিযোগিতা করল বাঁকুড়ার মোলডুবগা কালচারাল ক্লাব। ৭২টি দল যোগ দেয়। কেঠারডাঙার নিউ সাইন ক্লাবের লাল্টু খান ও শেখ নসিব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। |