ভোটের আগেই তপ্ত দুবরাজপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণ দে’র বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন পীযূষ পাণ্ডে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা পুরভোটের আহ্বায়ক শেখ নাজিরুদ্দিনের অভিযোগ, “এই ওয়ার্ডে তিনি হেরে জেতে পারেন, বুঝতে পেরে পীযূষবাবু ও তাঁর লোকেরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া বা প্রলোভন দেখানোর কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোট প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রাতে মেটে পাড়ার গরিব মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ওই পাড়ার মানুষ প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়েই আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা এলাকায় যান। পীযূষবাবুরা বেশ কিছুক্ষণ ওখানে আটকে থাকার পরে ফিরে আসেন। পরে তাঁরা আমাদের তিন জনকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করেন। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ পীযূষবাবুই।” থানায় অভিযোগও হয়েছে। তবে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পীযূষবাবু। থাঁর পাল্টা অভিযোগ, “প্রার্থীর দাদাই ওই পাড়ায় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষই সেটার প্রতিবাদ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস।” আর মৌনী মিছিল সম্পর্কে প্রাক্তন পুরপ্রধান বলেন, “আমার ওয়ার্ডের ২-৪ জন বাদে সকলকেই অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে এনে মিছিল করিয়েছে কংগ্রেস।”
কংগ্রেস বা এলাকার মানুষ অবশ্য বলছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সব জানা যাবে, কে ঠিক বলছেন। যদিও এই ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টহলদারি চলছে। মহকুমাশাসক চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করাতে আমরা সজাগ আছি। ইতিমধ্যেই বুথের একশো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।”
|