টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ
ভোটের আগেই তপ্ত দুবরাজপুর
ভোটের আগের দিনই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুবরাজপুর। রাতের অন্ধকারে ভোটারদের ‘প্রভাবিত করা’ ও ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’ অটাকাতে গিয়ে তিন কংগ্রেস সমর্থককে মারধর করা হয়েছে বলে আভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তিরমাস দেড়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে ও তাঁর লোকেদের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে দু’জন সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে শুক্রবার সকালে মৌনী মিছিল করেন মানুষজন। মিছিলটির প্রথম সারিতে ছিলেন মহিলারা।
বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। শুধু ওই ওয়ার্ডে নয়। শাসকদের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় ও প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ করেছেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির কর্মীরা। এর প্রতিবাদে এদিন তাঁরা দুবরাজপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ও স্মারকলিপি দেন। পীযূষবাবুরা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মহকুমাশাসক (সিউড়ি সদর) চন্দ্রনাথ রায়চৌধুরী বলেন, “লিখিত ভাবে না হলেও ওই দিন রাতেই ঘটনাটি জেনেছি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
মৌনী মিছিলের পুরোভাগে মহিলারা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণ দে’র বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন পীযূষ পাণ্ডে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তথা পুরভোটের আহ্বায়ক শেখ নাজিরুদ্দিনের অভিযোগ, “এই ওয়ার্ডে তিনি হেরে জেতে পারেন, বুঝতে পেরে পীযূষবাবু ও তাঁর লোকেরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া বা প্রলোভন দেখানোর কাজ করছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোট প্রচার শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রাতে মেটে পাড়ার গরিব মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ওই পাড়ার মানুষ প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়েই আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা এলাকায় যান। পীযূষবাবুরা বেশ কিছুক্ষণ ওখানে আটকে থাকার পরে ফিরে আসেন। পরে তাঁরা আমাদের তিন জনকে রড, লাঠি দিয়ে মারধর করেন। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ পীযূষবাবুই।” থানায় অভিযোগও হয়েছে। তবে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন পীযূষবাবু। থাঁর পাল্টা অভিযোগ, “প্রার্থীর দাদাই ওই পাড়ায় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষই সেটার প্রতিবাদ করেছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ভোটে ফায়দা তুলতে চাইছে কংগ্রেস।” আর মৌনী মিছিল সম্পর্কে প্রাক্তন পুরপ্রধান বলেন, “আমার ওয়ার্ডের ২-৪ জন বাদে সকলকেই অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে এনে মিছিল করিয়েছে কংগ্রেস।”
কংগ্রেস বা এলাকার মানুষ অবশ্য বলছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই সব জানা যাবে, কে ঠিক বলছেন। যদিও এই ঘটনায় শুক্রবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টহলদারি চলছে। মহকুমাশাসক চন্দ্রনাথবাবু বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করাতে আমরা সজাগ আছি। ইতিমধ্যেই বুথের একশো মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।”

পুরভোটে দুবরাজপুর
জনসংখ্যার নিরিখে ‘ডি’ শ্রেণির পুরসভা।
লোকসংখ্যা ৩৮,০৩৭।

আয়তন ১৬.৮৪ বর্গ কিলোমিটার।

মোট ভোটার ২৪৬৯৪।

ওয়ার্ড সংখ্যা বা আসন ১৬।
মোট প্রার্থী ৫৯।
মোট বুথ ৩০।

ভোট কর্মী ১৮০।
প্রতি বুথে ২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ ও ২ জন করে লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। বুথের
বাইরে থাকবে আরও পুলিশ, টহলদারি ভ্যান এবং কয়েকজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট।
জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “দুবরাজপুর পুর নির্বাচনের জন্য মোট ৩০০ জন
পুলিশ কর্মী থাকছেন। ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.