ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ, বধূর শাস্তি বোলপুরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা ও আদালতে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অপরাধে এক বধূকে জরিমানা করল বোলপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ জামিরুল হক বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ ও মিথ্যা বয়ান দেওয়ার দায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর ওই বধূকে দোষী সাব্যস্ত করেন অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসু। শুক্রবার ওই বধূর ৫০০ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।” বেকসুর খালাস পান অভিযুক্ত যুবক।
২০১২ সালের ২৫ জুন। বোলপুর থানার সিয়ানমুলুক পঞ্চায়তের এলাকার ঘটনা। ওই বধূর বাবা বোলপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন, পড়শি এক যুবক তাঁর মেয়েকে পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। ওই বছর ২ জুলাই বোলপুর আদালতে বধূটি জবানবন্দিতে ধর্ষণের কথা বলেছিলেন। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন অভিযুক্ত। তার দু’দিন পরে ওই যুবক বোলপুরের এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ৩১ অক্টোবর পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে মামলা শুরু হয়।
সরকারি আইনজীবী মহম্মদ জামিরুল হক জানান, গত ২৫ জুন অতিরিক্ত জেলা জজ মানস বসুর এজলাসে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরদিন এজলাসে দাঁড়িয়ে ওই বধূ দাবি করেন, ‘গোপন জবানবন্দিতে ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছিলেন, সেটি মিথ্যা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে।’ উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে গত ৩ জুলাই অভিযুক্ত যুবক বেকসুর খালাস পান। তবে মিথ্যা অভিযোগ করা ও আদালতে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অপরাধে বধূটির বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় আদালত। উত্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বধূটিকে আদালতে হাজির হতে বলেন। আদালতে এসে ওই বধূ তাঁর অপরাধের কথা স্বীকার করে নেন। এর প্রেক্ষিতে বোলপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপনকুমার দে ও কিছু আইনজীবী বলেন, “ধর্ষণের মতো অপরাধ এবং স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্যদান রুখতে সর্বস্তরে জন-সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।” |