পঞ্চায়েতের উপসমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর মোটরবাইক আটকে একটি টাটা সুমো গাড়িতে প্রায় টেনে হিঁচড়ে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন নওদাপানুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য সামসুল হুদা। কে করেছিল অপহরণ?
সে উত্তরও দিয়েছেন হুদা। এ ব্যাপারে তাঁর অভিযোগের তির, শাসক দলের দিকে। মজার ব্যাপার, অপহরণের ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই তিনি অবশ্য ‘ছাড়া’ পেয়ে গিয়েছিলেন। এবং বহাল তবিয়তে যোগও দিয়েছেন এই উপ-সমিতির নির্বাচনে। তবে পুলিশ ওই টাটা সুমো গাড়িটির চালককে গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু কেন তাঁকে অপহরণ করতে গেল তৃণমূল?
উত্তর দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার। তিনি বলেন, “উপ-সমিতিতে দু’পক্ষের প্রতিনিধি ছিলেন ১০ জন করে। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের ভোট ঠেকাতে পারলেই কেল্লা ফতে করে দিতে পারত। তাই ওরা সামসুলকে বেছে নিয়েছিল। নির্বাচনে যোগ দিতে আমাদের ওই সদস্য বাড়ি থেকে বের হতেই তাঁর কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে অপহরণ করে একটা টাটা সুমো গাড়িতে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যায়।” |
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৭ আসনের ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৮টি, তৃণমূল ৬টি এবং সিপিএম, আরএসপি ও মুসলিম লিগ একটি করে আসনে জয়ী হয়। গত ৯ অগস্ট বোর্ড গঠনের দিন বামফ্রন্ট ও মুসলিম লিগের জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলকে সমর্থন করে। প্রধান ও উপপ্রধান পদে জয়ী হন তৃণমূলের মমতা বিবি ও উমার ফারুখ। এর পরে এ দিন ছিল উপ-সমিতির নির্বাচন। উপ-সমিতিতে কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ১০। অন্য দিকে উপ-সমিতিতে তৃণমূলেরও সদস্য সংখ্যাও দশ। উপ-সমিতির নির্বাচনে জিততেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণ করা হয় বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
তৃণমূলের নওদাপানুর অঞ্চল কার্যকরী সভাপতি মানজারুল হক বলেন, “অপহরণ হলে ওই সদস্য নির্বাচনের ঠিক আগে হাজির হলেন কী করে? এটা কখনও সম্ভব! পুলিশি তদন্ত হলেই বিষয় স্পষ্ট হবে।”
|