পুলিশি ব্যবস্থা সত্ত্বেও পুরভোটে হিংসার আশঙ্কা করছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। আর কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার নদিয়া জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে, চাকদহ পুরসভার নির্বাচনে প্রতিটি বুথে সিপিএম প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে বসতে দিতে হবে। আজ, শনিবার ভোট নেওয়া হবে চাকদহ-সহ ১২টি পুরসভায়।
চাকদহের পুর নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্যও নদিয়ার এসপিকে এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীরা নিরাপত্তার অভাব আছে বলে অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। হাইকোর্টের নির্দেশ সেই মামলার প্রেক্ষিতেই। ফল বেরোনোর পরে বাইক-বাহিনীর মিছিলও নিষিদ্ধ করতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের এ দিনের নির্দেশে।
চাকদহের সিপিএম প্রার্থীদের আইনজীবী এ দিন আদালতে বলেন, মনোনয়নপত্র পেশের দিন থেকে তাঁর মক্কেলদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। প্রচারও করতে দেওয়া হয়নি। বাড়ি বাড়ি অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোনও বিরোধী প্রার্থীর এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হবে না।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে লক্ষ্মীচাঁদ বিয়ানি আদালতে জানান, মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন করার জন্য কমিশনের তরফে রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী যা যা করণীয়, সরকারকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়েও। কাজেই কমিশনের এখন আর কিছু করার নেই।
বিচারপতি জানান, চাকদহের ভোটে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, ঠিক ভাবে ভোট পরিচালনা করার সব নিশ্চয়তা পুলিশ সুপারকে দিতে হবে। ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারকে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, তিনি নির্দেশ পালন করেছেন কি না।
ভোটের দিন অতিরিক্ত পুলিশ দিতে শুক্রবারেও রাজ্যকে অনুরোধ করেছে কমিশন। দুবরাজপুর, বর্ধমান ও পানিহাটি থেকে গণ্ডগোলের খবর পৌঁছেছে কমিশনের কাছে। কমিশনের সচিব তাপস রায় এ দিন জানান, বুথ পাহারার জন্য পুলিশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু প্রচারের দিন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত যে-অতিরিক্ত পুলিশ দেওয়া হবে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কথা দিয়েছিলেন, তা রাখা হয়নি। পুরভোটে কমিশনের তরফে ১৯ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানান তাপসবাবু। |