জেলাশাসককে স্মারকলিপি কর আদায়কারীদের |
পঞ্চায়েত কর্মী হিসেবে সকলকে নিয়োগ করা, অবসরের পর এককালীন ভাতা দেওয়া সহ বেশ কিছু দাবিতে শুক্রবার জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারীরা। এ দিন সকালে বেশ কয়েকজন কর আদায়কারী স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের কার্যালয়ে এক সভা করেন। উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক সুব্রত সরকার। সভা শেষে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। সুব্রতবাবু বলেন, “ন্যায্য দাবিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারীরা আন্দোলন করছেন। আমরা ওঁদের পাশে আছি।” আগামী ৩ অক্টোবর বিষয়টি নিয়ে তাঁরা পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আন্দোলনরত কর আদায়কারীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে তাঁদের বঞ্চিত হতে হচ্ছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব আদায়কারীর বয়স ৪৫ এর মধ্যে এবং ৬ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাঁদের পঞ্চায়েতের কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হবে। সেই মতো ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আদায়কারী পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগও হয়েছেন। কিন্তু, যাঁদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে এবং যাঁদের ৬ বছরের কম কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁদের কী হবে? কর আদায়কারীদের দাবি, কর্মরত সকলকে পঞ্চায়েতের কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। অবসরের পর ভাতা হিসেবে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সকলকে সরকারি কর্মীর মতো পুজো বোনাস দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।
|
পূর্বে জেলা পরিষদে স্থায়ী সমিতি গঠন |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৯টি স্থায়ী সমিতির নির্বাচন হল শুক্রবার। এ দিন জেলা পরিষদের প্রতিটি স্থায়ী সমিতির ৫ জন করে সদস্য নির্বাচিত হন। পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত স্থায়ী সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলের জেলা পরিষদের পাশ করা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কোনও প্রস্তাব পেশ হয়নি। ফলে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যদের তরফে ৯টি স্থায়ী সমিতিতে প্রস্তাবিত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন। বামফ্রন্টের সদস্যরা এই নির্বাচনে যোগ দেননি। তবে নিয়মানুযায়ী প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে বিরোধী পক্ষের একজন করে সদস্য হিসেবে থাকতে পারবেন। অন্য দিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি পদাধিকার বলে প্রতিটি স্থায়ী সমিতিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন। এ দিন জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে আছেন পূর্ত ও পরিবহণে সোমনাথ বেরা, মামুদ হোসেন। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় মামুদ হোসেন, হাবিবুর রহমান। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশে প্রফুল্ল বাড়ই, পার্থপ্রতিম দাস। বিদ্যুৎ ও ক্ষুদ্রশিল্পে স্বপন রায়, প্রদীপ কয়াল। কৃষি, সেচ ও সমবায়ে বুদ্ধদেব ভৌমিক, অশোক বিশাল। নারী ও শিশু কল্যাণে অপর্ণা ভট্টাচার্য, সুমিত্রা পাত্র। খাদ্য ও সরবরাহে বিমান পণ্ডা, তারাপদ খাটুয়া। বন ও ভূমিতে মৃণাল দাস, রাধানাথ মিশ্র, গৌরমোহন দাশঠাকুর। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদে দেবব্রত দাস, মেঘমালা দাস প্রমুখ। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৬০ সদস্যের মধ্যে এ বার ৫৪ জন তৃণমূলের ও ৬ জন বিরোধী বামফ্রন্টের।
|
হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা |
একাধিক চুরির অভিযোগে ধৃত দলীয় দুই সমর্থককে ছাড়াতে এলে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও, ইট পাটকেল ছোঁড়া ও পুলিশকে লক্ষ্য করে পটকা ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সুতাহাটা থানার সামনেই। পরে অবশ্য পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পালিয়ে যান ওই নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক তৃণমূল নেতা সুব্রত পণ্ডা। তিনি বলেন, “ধৃতদের একজন চুরির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও অন্য জনকে মিথ্যে সন্দেহের বশে ধরেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের পক্ষ থেকে অশালীন মন্তব্য করা হলে তার প্রতিবাদ করা হয়। তবে গাড়ি ঘেরাও বা ইট পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগ মিথ্যে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নন্দকুমার থানা এলাকায় চুল বোঝাই একটি লরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুতাহাটার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইমরান ও সৈয়দ ইসমাইলের নাম জড়ায়। পুলিশ সে দিনই তাঁদের ধরে। শুক্রবার তাঁদের হলদিয়া এসিজেএম আদালতে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথেই ওই ঘটনা ঘটে। সুতাহাটা ব্লকের তৃণমূল নেতা তুষার মণ্ডল বলেন, “দলীয় তদন্ত করা হবে। তবে, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়াকে দল সমর্থন করে না।”
|
চালু হবে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প |
আগামী ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় আসতে হলে পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র প্রয়োজন। ফলে, বিধায়কদের অফিসে ভিড় করছে ছাত্রীরা। পাশাপাশি, জাতিগত শংসাপত্রের জন্যও ছাত্রছাত্রীরা বিধায়কদের অফিসে আসেন। শুক্রবার মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতির অফিসে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
|
গড়বেতার সিপিএম নেতা সুকুর আলিকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েও পেল না সিআইডি। নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় আত্মসমর্পণের পরে জেল হেফাজতে আছেন সুকুর। তাঁকে জেরা করতে সিআইডিকে অনুমতি দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত। আরও জেরার জন্য সুকুরকে হেফাজতে চেয়ে শুক্রবার জেলা কোর্টে আবেদন করে সিআইডি। জেলা জজ মধুমতী মিত্র সেই আবেদন নাকচ করে দেন। সরকারি আইনজীবী সুবোধকুমার মাইতি জানান, যেহেতু সুকুর আলির বিরুদ্ধে এই মামলায় আগেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, সেহেতু পুনরায় হেফাজতে নেওয়ার আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। এ দিনই নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার বিচারপর্ব কোন আদালতে হবে, তা নিয়েও শুনানি ছিল। মামলার পরের শুনানি ১০ ডিসেম্বর।
|