চন্দ্রকোনায় তৃণমূল কর্মী খুনে অভিযুক্ত সিপিএম নেতা সুকুর আলিকে শুক্রবার ঘাটাল আদালতে হাজির করানো হল। শুনানির পর বিচারক সুকুরকে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
২০০৯ সালে চন্দ্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় সিপিএম নেতা তপন ঘোষ এবং সুকুর আলির নেতৃত্বে সিপিএমের লোকজন গ্রাম দখল অভিযান শুরু করে বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁদের নেতৃত্বে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি কল্লা, পলাশচাবড়ি, মহেষপুর-সহ একাধিক এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চালায় সিপিএম। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০৯-এর ২৩ জুলাই সকালে মহেষপুরের বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী আবতাবউদ্দিন ভাঙি (৫১) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার পর মৃতের পরিবারের তরফে তপন ঘোষ, সুকুর আলি-সহ মোট ৩৬ জনের নামে চন্দ্রকোনা থানায় মামলা করা হয়। সেই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেফতার হলেও তপন ঘোষ, সুকুর আলিরা ফেরার ছিলেন।
তমলুক আদালতে সিপিএম নেতা সুকুর আলি আত্মসমর্পণের পরই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত সুকুর আলিকে গ্রেফতারের (শোন অ্যারেস্ট) জন্য ঘাটাল আদালতে আর্জি জানায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করায় এ দিন তাঁকে ঘাটালের এসিজেএম আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এ দিন সুকুর আলিকে ঘাটাল আদালতে আনার পর তৃণমূলের যুব এবং ছাত্র সংগঠনের সমর্থক ও কর্মীরা আদালত চত্বরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের আশঙ্কায় আদালত চত্বরে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ছিল।
|