ভর্তিতে অনিয়ম নালিশ কমিশনে
শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন জঙ্গলমহলের দুই ছাত্র। তাঁদের অভিযোগ, ঝাড়গ্রামের সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থার কর্তৃপক্ষ (ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশন) কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরে তিনটি শূন্য আসনে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভর্তি নিয়েছেন। অভিযোগকারী বিদ্যুৎ দে ও বিশ্বজিৎ সাউয়ের বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের থেকে কম নম্বর পাওয়া তিন জনকে কোনও রকম মেধা তালিকা ছাড়াই ভর্তি নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ওই ভর্তি নেওয়া হল, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনও সদুত্তর দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক মহলে লিখিত অভিযোগ করেছেন ‘বঞ্চিত’ দুই ছাত্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ দে-র বাড়ি বাঁকুড়ার জয়পুর থানার কাঁটাগোড় গ্রামে। বিশ্বজিত সাউয়ের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলিয়াবেড়া থানার তেঁতুলডাংরায়।
বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে পড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কর্তৃপক্ষও। সংস্থার অধ্যক্ষ রঞ্জিত সামন্তের দাবি, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে অন্য প্রতিষ্ঠানের তিন জনকে ‘ট্রান্সফার কেস’ হিসেবে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি স্বপন মুর্মু পদাধিকার বলে ওই শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থার গর্ভনিং বডির প্রেসিডেন্ট। তাঁর বক্তব্য, “অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।”
ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট-এর ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টরি এডুকেশন) কোর্সে ২০১৩-১৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১৪ অগস্ট। ৫০টি আসনের মধ্যে তিনটি মেধা তালিকার ভিত্তিতে ৪৭ জনকে ভর্তি নেওয়া হয়। মেধা তালিকাভুক্ত সর্বশেষ প্রার্থীর উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৭ শতাংশ। বিদ্যুৎ ও বিশ্বজিৎ ভর্তির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু প্রকাশিত তিনটি মেধা তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। বিদ্যুৎ ও বিশ্বজিতের অভিযোগ, পরে তাঁরা জানতে পারেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর কোনও মেধা তালিকা ছাড়াই তিনটি শূন্য আসনে তিন জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও বিশ্বজিতের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৭৭ শতাংশ ও ৭২.৮ শতাংশ। অথচ যে তিন জনকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর অনেক কম। কী ভাবে মেধা তালিকা ছাড়া সরকারি শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থায় কম নম্বর পাওয়া ছাত্রদের ভর্তি নেওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্যুৎ ও বিশ্বজিৎ। দুই ছাত্রের বক্তব্য, “এরপর আমরা তথ্য জানার অধিকার আইনে ভর্তির প্যানেল সম্পর্কে জানার জন্য আবেদন করব।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.