|
|
|
|
প্রধান শিক্ষককে রোদে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
স্কুলে রয়েছে গভীর নলকূপ। তবুও পর্যাপ্ত ট্যাঙ্কের অভাবে পানীয় জল পায় না পড়ুয়ারা। বেঞ্চের অভাবে কিছু পড়ুয়াকে মাটিতে বসতে হয়, পড়ুয়াদের জন্য ক্লাসরুমে সিলিং ফ্যান রয়েছে। কিন্তু পাখা চলে না। ছাত্রছাত্রীদের শৌচাগার দু’টিরও বেহাল অবস্থা। এমনই নানা অভাব অভিযোগের জন্য প্রধান শিক্ষককে প্রথমে ঠা-ঠা রোদে দাঁড় করিয়ে ও পরে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। স্কুলে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্কুলের সম্পাদক ও সভাপতিও। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘বল্লা বিদ্যাপীঠ’ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে মানিকপাড়া পুলিশ বিট হাউসের ভারপ্রাপ্ত অফিসার রাজশেখর পাইনের নেতৃত্বে পুলিশ ওই স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক-সহ তিনজনকে উদ্ধার করে। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে স্কুল সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক অবিলম্বে স্কুলের উন্নয়ন-কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত তহবিল থাকলেও স্কুলে কোনও রকম উন্নয়নের কাজই হচ্ছে না। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে দরবার করা হলে তিনি দুর্ব্যবহার করে থাকেন। এ দিন বেঞ্চের অভাবে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী মেঝেতে বসে ক্লাস করে। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক প্রবীণ শিক্ষক। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওই প্রবীণ শিক্ষককে অপমান করেন বলে অভিযোগ। এরপরই তুমুল বিক্ষোভ শুরু করে পড়ুয়ারা। দুপুর বারোটা থেকে তিন ঘণ্টা প্রধান শিক্ষককে স্কুলের মাঠে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখে। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি নেপাল কুইলা ও সম্পাদক অলোককুমার মাহাতো সেখানে এলে তাঁদেরকেও বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত তালাবন্ধ করে রাখা হয়। প্রধান শিক্ষক যাদবকুমার মাইতি অবশ্য স্কুল সম্পাদক অলোককুমার মাহাতোর উপরই যাবতীয় অনুন্নয়নের দায় চাপিয়েছেন। তৃণমূল প্রভাবিত স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক অলোককুমার মাহাতোর প্রধান শিক্ষককে পাল্টা দায়ী করেন। |
|
|
|
|
|