|
|
|
|
পুজোর মামলা |
রাজ্য এ বার ডিভিশন বেঞ্চে
নিজস্ব সংবাদদাতা |
যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমিতির পুজোর অনুমতি দিলে কী ধরনের নাগরিক সমস্যা হতে পারে, তা জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল রাজ্য। এ নিয়ে একটি মামলা চলছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে।
ওই পুজোর অনুমতি না দেওয়ায় বিচারপতি গত মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। রাস্তা আটকে পুজোর অনুমতি পুলিশ কী ভাবে দেয়, তার নিয়ম আদালতে পেশ করারও নির্দেশ দেন তিনি। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য জানিয়েছে, অবিনাশ কবিরাজ স্ট্রিট ও দুর্গাচরণ মিত্র লেনের মোড়ে ওই পুজো হলে যানজট বাড়বে। তাই ওই পুজোয় অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
রাজ্যের জিপি অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুজোর সময়ে এমনিতেই সেখানে এক-দেড় লক্ষ লোকের সমাগম হয়। সেখানে পুজো হলে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে।” তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চে তা-ই জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন অশোকবাবু।
১৭ সেপ্টেম্বর ওই মামলার শুনানির সময়ে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে প্রশাসন এক রকম, বাকিদের ক্ষেত্রে অন্য রকম। রাস্তা বন্ধ করে পুজো করতে গিয়ে রাজ্যের কয়েক জন মন্ত্রী গুন্ডার মতো আচরণ করছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অনেকের মতে, ওই মন্তব্য রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলেছিল। তবে রাজ্য সরকারের তরফে সে দিনই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিচারপতির মন্তব্যের সঙ্গে রাজ্য এক মত নয়।
দুর্বার-এর আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “তথ্য জানার অধিকার বিচারপতি থেকে সাধারণ নাগরিক, সকলের আছে। বিচারপতি তো কোনও রায় দেননি, তিনি কেবল পুলিশ কমিশনারের কাছে তথ্য চেয়েছেন। রাজ্য কেন ডিভিশন বেঞ্চে গেল, বোঝা যাচ্ছে না। আমার মনে হয়, সরকার কিছু লুকোতে চাইছে।”
এক পুলিশকর্তার দাবি, “সরকারি নীতি মেনেই শহরে নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। দুর্বার-কেও তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেটাই আমরা ডিভিশন বেঞ্চকে জানিয়েছি।”
|
পুরনো খবর: রাস্তা আটকে পুজো, তোপ পুলিশকেও |
|
|
|
|
|