অমৃতসর-দিল্লি-কলকাতা শিল্প করিডর তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। এ বার শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক সিলমোহরের অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বক্তব্য, চলতি মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে নেওয়া হবে। পঞ্জাব থেকে শুরু করে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত এই শিল্প করিডর গড়ে উঠলে এই সাতটি রাজ্যের ২০টিরও বেশি শহর লাভবান হবে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল, দুর্গাপুর ও কলকাতা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে শিল্পায়নের জন্য অমৃতসর থেকে কলকাতা পর্যন্ত শিল্প করিডর তৈরির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে দু’দিন আগেই ইতিবাচক সুপারিশ জানিয়েছিল আন্তঃমন্ত্রক গোষ্ঠী। আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পুলক চট্টোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়কাঠামোও স্থির করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানাচ্ছে, রাজ্য সরকারগুলিকেও এই প্রকল্পে অংশীদার হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। অর্থাৎ অমৃতসর-দিল্লি-কলকাতা শিল্প করিডর উন্নয়ন নিগমে কেন্দ্রের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সাতটি রাজ্যও অংশীদার হতে পারবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যগুলিকে প্রস্তাব জমা দিতে বলা হবে। তার আগে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই প্রতিটি রাজ্যকে ‘ডেডিকেটেড সেল’ গড়ার জন্য অনরোধ করা হবে। প্রতিটি সেলের নেতৃত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব।
এই করিডরের জন্য প্রথম দফায় ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রাথমিক ভাবে প্রতিটি রাজ্যে অন্তত একটি ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানুফ্যাকচারিং ক্লাস্টার’ গড়ে তোলা হবে। প্রতিটির আয়তন হবে কমবেশি ১০ বর্গকিলোমিটার। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সিদ্ধান্ত, জাতীয় উৎপাদন নীতি অনুযায়ী ‘ন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারিং জোন’ তৈরি করে যে সব সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো এই ক্লাস্টারগুলিতেও দেওয়া হবে।
|