ইটাহারের মূল অভিযুক্তরা ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন বলে দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার ডালখোলায় পুর ভোটের প্রচার সেরে সাংবাদিক বৈঠকে ইটাহার প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, “ইটাহারের ঘটনায় অভিযুক্তদের অনেককে ধরা হয়েছে। অনেকেই জেল হেফাজতে রয়েছে।” একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, “শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি থাকা উচিত নয়। আর কোনও অধ্যক্ষকেই রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত করাও উচিত নয়।” পাশাপাশি পুজোর পরেই প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। গত ২৭ অগস্ট প্রথম বর্ষের ছাত্রী তথা উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূল নেতা গৌতমবাবুর স্ত্রীর টুকলি ধরার অভিযোগকে কেন্দ্র করে কলেজে ঢুকে ভাঙচুর সহ অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গৌতমবাবুর স্ত্রীকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে অধ্যক্ষা -সহ কয়েক জন শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। জামিন অযোগ্য ধারায় দু’পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা বাবুসোনা মোহান্ত এবং ইসলাম আহমেদ নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ধরে পুলিশ। যদিও কলেজের একাংশ শিক্ষকদের দাবি মূল অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিনে ডালখোলায় পুরভোটের প্রচার করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৃহস্পতিবার সারা দিনই ডালখোলা পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থী নিয়ে রোড শো করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জৈন ভবনের সামনে থেকে রোড শো শুরু হয়। রোড শোতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর সহ কয়েকটি এলাকায় কলেজ করার করার চিন্তা করছে রাজ্য সরকার। ইটাহারে একটি মহিলা কলেজ করার কাজ চলছে। |